সুকুমার সরকার, ঢাকা: ধর্ম এবং নাম পরিবতন করে চতুর্থবার বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি। হাতেনাতে ধরা পড়ল প্রতারক শিক্ষক। ঢাকার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলশিক্ষক (School Teacher) স্বরোচিস হাওলাদার ওরফে শিবু চতুর্থবার বিয়ে পরিকল্পনা করে। হিন্দু ধর্ম ত্যাগও করে সে। বর্তমানে সিয়াম হাওলাদার নামে পরিচিত স্কুলশিক্ষক। এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে। কয়েকদিন সংসারও করে। এরপর আগের ধর্মে ফিরে যায়। সেই সময় কলেজ ছাত্রী নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: হেলমেট না পরে বাইক চালালে এবার ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড হবে লাইসেন্স, সঙ্গে জরিমানাও]
স্বরোচিস হাওলাদার শিবু দক্ষিণ কবুতরখালী গ্রামের সাবেক পল্লি চিকিৎসক স্বপন কুমার হাওলাদার ছেলে। ১০১নং মাথাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রীকে স্বরোচিস প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। পরে ধর্মের বিষয়টি সুমি জানতে পারলে স্ত্রী-সন্তান রেখে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে স্বরোচিস নাম পরিবর্তন করে। নতুন নাম রাখে সিয়াম হাওলাদার। এরপর খুলনায় গিয়ে এক কাজীর উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা ঢাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করে।
ওই কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সিয়াম তাঁকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। গত ৩ জানুয়ারি সিয়াম হাওলাদার (স্বরোচিস) সুমিকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্ত্রীকে। সুমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, এক সন্তানের বাবা সিয়াম। সে ইতিমধ্যে ওই ছাত্রী-সহ চার তরুণীকে বিয়ে করেছে। অবশ্য আগেই তার সঙ্গে দুই স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপকুমার পাল জানান, “আদালতের নির্দেশ পেয়েছি। শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট-সহ সময় চেয়ে আবেদন করায় শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ নেওয়া হবে।”