নন্দন দত্ত, সিউড়ি: একবার চার্জ দিলেই কেল্লাফতে! ৩০ কিলোমিটার যেতে আর প্যাটেল করার প্রয়োজনই পড়বে না। এমনই ব্যাটারি চালিত সাইকেল তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন বীরভূমের এক শিক্ষক। ওই সাইকেলেই এখন ঘুরে বেরাচ্ছেন জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক জয়ন্ত মণ্ডল। আর তাঁকে দেখলেই ভিড় জমাচ্ছেন আমজনতা।
সাইকেলের পিছনের চাকার সঙ্গে একটি মোটর, হ্যান্ডেলের ডান হাতের মুঠিটাই তার এক্সেলেটর। সেটাতে চাপ দিলেই আপনার পছন্দের গতিতে ছুটবে সাইকেল। কুবিলপুর হাইস্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক জয়ন্ত মণ্ডল লকডাউনে বাড়িতে বসেই গবেষনা চালিয়েছেন। তাঁর স্কুল সূত্রে জানা যায়, জয়ন্তবাবু বরাবরই নানা বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পছন্দ করেন। তাঁর তৈরি ‘সেভ ওয়াটার, সেভ এনার্জি’ মডেল নিয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় ছুটেছিল তাঁর স্কুলের ছাত্র। দিনের আলো ফুটলেই নিভিয়ে যাবে বাড়ির আলো। অন্ধকারে জ্বলে উঠবে বাতি। এমনই নানান বিষয় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন জয়ন্তবাবু। ব্যাটারি চালিত সাইকেল প্রসঙ্গে তিনি জানান, “কলেজে পড়ার সময়েই সাধারণ বাই সাইকেলটা কিনেছিলাম। ওটা নিয়েই বাজারে ঘুরি। ভাবলাম কী করে কম কষ্ট করে সাইকেল নিয়ে আরও বেশি ঘুরতে পারি। তার পরীক্ষার জন্য একটি ব্যাটারি কিনলাম অনলাইনে। ২৪ ভল্টের লিথিয়াম ব্যাটারি, সঙ্গে একটি মোটর। তৈরি করে ফেললাম ব্যাটারি চালিত সাইকেল।”
[আরও পড়ুন: মশারির মধ্যে মা ও ছেলের দেহ, পাশের ঘরে ঝুলছেন মামা! ব্যাপক চাঞ্চল্য মন্তেশ্বরে]
উল্লেখ্য, বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এমন সাইকেল পাওয়া যায়। সেগুলির খরচ পরে কমপক্ষে ২৮ হাজার টাকা। কিন্তু জয়ন্তবাবুর এই সাইকেল আট হাজার টাকাতেও তৈরি করা সম্ভব। সাইকেলের ব্যাটারিতে বিদ্যুতের চার্জ দিতে পাঁচ ঘণ্টা লাগবে। মোবাইলের ব্যাটারির মতন লিথিয়াম ব্যাটারি। একবার চার্জ হয়ে গেলেই সাতদিন আর চার্জ দিতে হবে না, ৩০ কিলোমিটার চলবে। জয়ন্তবাবু জানান, “স্কুলে গেলে ছাত্রছাত্রীরা জানতে চায় বিষয়টা ঠিক কী। তাদের জানানোই আমার উদ্দেশ্যে। বাজারে গেলে লোকে ভিড় করে। আমার মনে হয়, যেভাবে পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়ছে, ছেলেমেয়েদের স্কুটি-মোটরসাইকেলের বিকল্প হতে পারে তাদের এই প্রিয় সবুজ সাথী সাইকেল।”