সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুলে পাক ধরেছে। ভেঙে গিয়েছে চোয়াল। শীর্ণ হয়েছে দেহ। এত মাস ধরে মহাকাশ স্টেশনে দিন কাটানো নভোচর সুনীতা উইলিয়মস ও বুচ উইলমোরের স্বাস্থ্য নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। যদিও নাসা বরাবরই দাবি করেছে যে স্পেস স্টেশনে দুজন ভালোই আছেন, স্বাস্থ্যও ঠিক আছে। তাঁদের নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু সম্প্রতি সুনীতা উইলিয়মসের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসায় তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ তো বেড়েইছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, মহাকাশে কি দ্রুত বুড়িয়ে যাচ্ছেন সুনীতা? তাঁর চেহারায় সেই ছাপ স্পষ্ট। বয়সের তুলনায় আরও বেশি বয়স্ক লাগছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারীকে।
মহাকাশ স্টেশন থেকে বার্তা দিয়েছেন সুনীতা উইলিয়মস। ফাইল ছবি।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়মস ও বুচ উইলমোর। তাঁদের ফিরে আসার কথা থাকলেও, মহাকাশযানটির যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় তাঁদের ফেরা হয়নি। আপাতত স্পেস স্টেশনে দিন কাটাতে হচ্ছে। নাসা অবশ্য নিয়মিত তাঁদের জন্য রসদ পাঠাচ্ছে এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলছে। মহাকাশ থেকে তাঁরা মাঝেমধ্যেই জনতার উদ্দেশে বার্তা দিচ্ছেন। তাতেই বোঝা যাচ্ছে সুনীতার চেহারায় বেশ বদল এসেছে। অনেকটা রোগা দেখাচ্ছে তাঁকে। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নাসা তড়িঘড়ি জানায়, তাঁরা ভালোই আছেন।
তবে সুনীতার সাম্প্রতিক এক ছবি দেখে তাজ্জব অনেকেই। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর চোয়াল ভেঙে গিয়েছে, চুলে পাক ধরেছে। একেবারে বয়স্ক দেখাচ্ছে তাঁকে। ওজনও কমছে দ্রুত। অনেকে বলছেন, একেবারে যাকে বলে, হাড় জিরজিরে চেহারা। আসলে মহাকাশের পরিবেশে চেহারার বদল অবশ্যম্ভাবী। সেখানে থাকতে গেলে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হয়। হাড় ও পেশি সবল রাখতে বিশেষ ডায়েট আছে। তা যদি ঠিকমতো না খাওয়া হয়, তাহলে চেহারার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। সম্ভবত সুনীতার ক্ষেত্রে তেমনটাই হচ্ছে। তা দেখে নাসাও এখন কিঞ্চিৎ চিন্তিত। বলা হচ্ছে, দুই মহাকাশচারীর স্বাস্থ্যের দিকে নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। সুনীতার অবশ্য দাবি, তাঁর শরীর ভালোই আছে, তিনি ফিট। তবে ছবি বলছে অন্য কথা। মহাকাশে থাকাকালীনই বার্ধক্য যেন জাপটে ধরছে তাঁকে।