সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কষ্ট হোক কিংবা একঘেঁয়ে লাগুক - আরও তিনমাস মহাশূন্যে কাটাতে হবে দুই নভোশ্চর সুনীতা উইলিয়মস, বুচ উইলমোরকে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরা। অর্থাৎ ক্রিসমাস ও ইংরাজি নববর্ষে সেই মহাকাশ স্টেশনেই কাটবে তাঁদের। ইতিমধ্যে পরিবেশের কারণে দুই নভোশ্চরের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে একাধিক গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শুধু গুঞ্জনই নয়, নাসার সূত্রে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক ছবিতে সুনীতা উইলিয়মসের চেহারা দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকে। অনেক শীর্ণ হয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে কি খাওয়াদাওয়ার সমস্যা? সম্প্রতি জানা গেল, তাঁরা মহাকাশ স্টেশনে বসে দিব্যি নানারকম খাবার খাচ্ছেন। পিৎজা থেকে রোস্ট চিকেন - বাদ নেই কিছুই।
প্রাতরাশে কখনও গুঁড়ো দুধ, কখনও টুনামাছ, রোস্টেড চিকেন, কখনও আবার চিংড়ি জাতীয় ছোট মাছ মিশ্রিত কোনও সুস্বাদু পদ পাতে পড়ছে সুনীতা, বুচদের। আর সেসব তাঁরা বেশ আনন্দ করেই খাচ্ছেন। আসলে অনেকটা অতিরিক্ত সময় মহাশূন্যে ভেসে থাকা অতি বড় নভোশ্চরের পক্ষেও কঠিন। আর সুনীতা ও বুচ তো দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে এত আলোচনা, গুঞ্জনের মাঝে কিছুটা নড়েচড়ে বসে নাসাও নজরদারি বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ডেকে নভোশ্চরদের ডায়েট সংক্রান্ত পরামর্শ নিয়েছেন।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র সূত্রে খবর, সুনীতা, বুচের জন্য প্রচুর রকমারি খাবারদাবার নিয়ে স্পেস স্টেশনে যাচ্ছে রকেট। তাতে ততটুকু সবজিই রয়েছে, যতটা সারাদিনে তাঁদের শরীরের প্রয়োজন। তবে সেসবই বিশেষভাবে সংরক্ষিত খাবার অর্থাৎ টাটকা সবজি নয়। সবজির পাশাপাশি এরকম ফলও তাঁদের কাছে পৌঁছেছে। বাকি প্যাকেটজাত খাবারও রয়েছে। স্পেস স্টেশনে বিশেষভাবে তৈরি ফুড ওয়ার্মারের মাধ্যমে সেসব খাবার গরম করে খেতে পারেন সুনীতা, বুচ। রান্নার পদ্ধতিও আছে। ম্যাগনেটাইজড ধাতব পাত্রে তাঁরা রান্না করেন। নাসা সূত্রে খবর, মোট ৫৩০ গ্যালন জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে স্পেস স্টেশনে। সেই জল ব্যবহার করে খাবার তৈরি করতে পারেন সুনীতা উইলিয়ামসরা। স্যুপ, স্টু বানানোর পাশাপাশি পৃথিবী থেকে পাঠানো রান্না করা খাবারও গরম করতে পারেন। এই তালিকায় মূলত রয়েছে রান্না করা মাংস এবং ডিম। সবমিলিয়ে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মত, স্পেস স্টেশনে খাওয়াদাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যাই নেই। যদি সুনীতা বা বুচের স্বাস্থ্যের অবনতি হলেও তার কারণ ডায়েট নয়।