সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একরত্তি। কোন কাজ করতে হয় আর কোনটা না, সে বোধ তৈরি হয়নি। তাই বাথরুমে গিয়েই খেলা করছিল সে। আর সেই ‘অপরাধে’ বছর তিনেকের মেয়েকে বেধড়ক মারধরের পর মাটিতে আছাড় মারল বাবা। হায়দরাবাদের (Hyderabad) ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ শিশু। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। ঘৃণ্য অপরাধের জন্য বাবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে।
শিশুর মা জানান, তিন বছর বয়সি কন্যাসন্তান বেশ দুরন্ত। মাঝেমধ্যেই নানারকম কাণ্ড ঘটায় সে। তেমনই বাথরুমে বসে খেলাধূলা করছিল শিশু। বারবার তার বাবা বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। তবে তাতে রাজি হয়নি। কথা না শোনায় বিরক্ত হতে থাকে শিশুর বাবা। বেধড়ক মারধর করতে থাকে। মেঝেতে আছড়ে ফেলে দেয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শিশুর মা জোর করে বাবার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় মেয়েকে।
[আরও পড়ুন: খুন নাকি আত্মহত্যা? লেকটাউনে শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য]
এমন অমানবিক আচরণের জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে বেজায় বিরক্ত হন মহিলা। পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। পুলিশ ওই মহিলার স্বামীকে আটক করে। এরপর পুলিশের কথামতো সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, বছর তিনেকের ওই শিশুকন্যার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। মাথায় গভীর চোট রয়েছে তার।
শিশুর মা জানান, গত ২০১৫ সালে বিয়ে হয় তাঁর। স্বামী প্রথম থেকে বেশ রাশভারী মানুষ। অল্পতেই রেগে যান। চার কন্যাসন্তানের বাবা-মা তাঁরা। শিশুর মা বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারই মাঝে এমন কাণ্ড ঘটায় কার্যত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। বারবার কন্যাসন্তান জন্মের ফলেই কি সারাক্ষণ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি? সে কারণেই কি নিজের সন্তানের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করে বসলেন তিনি? এমন একাধিক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। ধৃতকে জেরায় সমস্ত প্রশ্নের জবাব মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।