কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালবাগে। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই কি প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আলতাফ শেখ। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি পেশায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রানিনগরের প্রধানও ছিলেন। পরবর্তীতে যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক তিনি। মঙ্গলবার রানিনগর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানে ছিলেন আলতাফ শেখ। সেখান থেকে বাইকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটি পড়েন রাস্তায়। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিাদাবাদ মেডিক্যালে।
[আরও পড়ুন: ফের গুরুং ঘনিষ্ঠতা, মুখে গোর্খাল্যান্ড সুর! বিনয় তামাংকে ছেঁটে ফেলার ইঙ্গিত তৃণমূলের]
রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অস্ত্রোপচাপ করা হয় আলতাফের। বের করা হয় গুলি। তাতেও লাভ হয়নি। বুধবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই শিক্ষক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছএ ধোঁয়াশা। একাংশের ধারণা, রাজনীতির জেরেই এই ঘটনা। যদিও রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি মোস্তফা সরকারের দাবি, ওই শিক্ষককে গুলি করার ঘটনায় রাজনৈতিক কোনও যোগ আপাতত পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর যুক্তি মৃত শিক্ষক নতুন পঞ্চায়েত প্রধান গঠনের পক্ষেই ছিলেন। এদিকে ঘটনার জন্য ইঙ্গিতে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন দলের নেতারা রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। বিরোধিদের যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।