অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি আশিফ আহমেদের গালে পুলিশ অফিসারের সপাটে চড়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় ইসলামপুর বাসষ্ট্যান্ডে। শুক্রবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর নেতাজি মোড়ে। যদিও ওই পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, যুব সভাপতি তাঁর কলার ধরে টানেন আগে। তার পরই থাপ্পড় মারা হয়েছে। পরে থানা থেকে ওসি নির্মল দাসের নেতৃত্বে ব্যাপক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। যুব সভাপতি জানান, “পুরো বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদবকে জানানো হয়েছে।” শনিবার সকালে ওই এএসআই বিপ্লব মণ্ডলকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
ইসলামপুর বাসষ্ট্যান্ডে নেতাজি মোড়ের কাছে শেখপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি আশিফ আহমেদ। রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ফল কিনছিলেন। সেই সময় ওই ট্রাফিক মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার গাড়িটা সরিয়ে নিতে বলে। কিন্তু চালক আসেননি বলে গাড়ি সরানো সম্ভব নয় বলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি আসিফ আহমেদ। তাঁর সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে। পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, ওই সময় যুব সভাপতি তাঁর শার্টের কলার ধরেন। জানা গিয়েছে, পালটা পুলিশ আধিকারিক আবার তৃণমূল নেতাকে চড় মারেন বলেই অভিযোগ। যদিও পুলিশ আধিকারিকের শার্টের কলার ধরার কথা অস্বীকার করেন জেলা যুব সভাপতি। তিনি জানান, “চড় মারলেন কেন প্রশ্ন করায় ওই অফিসার ফের সপাটে থাপ্পড় মারে গালে।”
[আরও পড়ুন: সূত্র ব্লু টুথের ছেঁড়া তার, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে পুলিশের জালে ১]
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ইসলামপুর বাসষ্ট্যান্ডে। খবর পেয়ে ওসি নির্মলকুমার দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছয়। তিনি পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু রাতেই যুব তৃণমূলের সভাপতি পুরো বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনেন। শনিবার সকালের খবর অনুযায়ী, ওই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের যুব সভাপতিকে চড় মারার ঘটনাই শুধু নয়। রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় ওই আধিকারিক মদ্যপ ছিলেন। যেটা গুরুতর অপরাধ বলেই গণ্য করা হয়েছে।