সৌরভ মাজি, বর্ধমান: তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র জের। বর্ধমানের (Purba Bardhaman) তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ উঠল দলের একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান শহরে। প্রতিবাদে কালনা রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। ঘটনার পর বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার বিকেলে পুরসভা থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, খালাসি পাড়ায় বেশ কিছু যুবক তাঁর পথ আটকায়। লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তৃণমূল (TMC) নেতাকে বাঁচাতে গেলে আরও দু’জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন তৃণমূল নেতা অশোক মাজি। গুরুতর জখম হন তিনি। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তৃণমূল নেতাকে।
[আরও পড়ুন: এবার উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার পক্ষে সুর চড়ালেন Nisith Pramanik, পালটা দিলেন Kunal Ghosh]
অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষের অনুগামীরাই হামলা চালিয়েছিল মহম্মদ সেলিমের উপর। যার এই মর্মান্তিক পরিণতি। কিন্তু কেন এই হামলা? তৃণমূলের একাংশের দাবি, অভিযুক্ত শিবশংকর দাস এলাকায় তোলাবাজি করছিল। তার প্রতিবাদ করেছিলেন সেলিম। সেই কারণেই এই হামলার ঘটনা। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল দলের এক নেতার। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বর্ধমান। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেই কারণে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।