সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রত্যাশামতোই জেলা পরিষদের মেন্টর পদ ত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা প্রণব বসু। মাত্র কিছুদিন আগেই তিনি পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যপদ খুইয়েছেন। যার জেরে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, মেন্টর পদ ত্যাগ করবেন। মঙ্গলবার জেলা পরিষদে গিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। সঙ্গে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikary) অনুগামী হিসেবে পরিচিত এই নেতা দীর্ঘ দশ বছর মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন। গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন তৎকালীন সদর মহকুমাশাসক। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই অবশ্য প্রণববাবুকে এবং মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতিকে সহ-প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীকালে সহ-প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন বিদায়ী কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী। বর্তমানে পুরপ্রশাসক পদে রদবদল ঘটানো হয়েছে। মহকুমাশাসকের বদলে মুখ্য প্রশাসক করা হয়েছে খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়কে। তাঁর অধীনে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে মৃগেন মাইতি ও নির্মাল্য চক্রবর্তীকে। বাদ পড়ে গিয়েছে প্রণববাবুর নাম।
[আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত নয়, বালির মানুষকে প্রার্থী চাই’, মমতার ছবি দেওয়া পোস্টারের নিশানায় বৈশালী ডালমিয়া?]
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন প্রণব বসু। মামলা করেছেন। ফলে তাঁর সঙ্গে শাসকদলের দূরত্ব যে বেড়েছে, তা স্পষ্ট হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। মেন্টর পদ ত্যাগ করতেই জোরাল হয়েছে জল্পনা। এদিন প্রণববাবু বলেন, “শুভেন্দুবাবু কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সেই অপেক্ষাতেই আছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত সমাজসেবার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।” আর এতেই অনেকে মনে করছেন দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথেই হয়তো প্রণব বসুও।