shono
Advertisement

‘গালিগালাজ শুনলেও মানুষের বাড়ি যান’, ভোট ফেরাতে কর্মীদের দাওয়াই জেলা সভাধিপতির

পুরুলিয়ার জেলা সভাধিপতির দাওয়াইতে চাঙ্গা কর্মীরা।
Posted: 08:48 PM Oct 08, 2020Updated: 08:48 PM Oct 08, 2020

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: “সাধারণ মানুষের গালিগালাজ শুনতেই ছোট ছোট দল করে বাড়ি বাড়ি যান। তবেই ক্ষোভ মিটে যাবে”, বিধানসভা ভোটের আগে পুরুলিয়া (Purulia) নেতা-কর্মীদের আমজনতার মন জেতার উপায় বাতলে দিলেন জেলা সভাধিপতি। এতে ফল মিলবে, নিশ্চিত তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এই বিধানসভার পয়েন্টস অফ কনটাক্ট দিব্যজ্যোতিপ্রসাদ সিংহ দেও-র আহ্বানে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন হয় হুটমুড়ায়। কয়েকদিন আগে এই এলাকাতেই এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকু্ল রায়। ফলে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাছাড়া এমনিতেও পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি হওয়ার পর দলের তরফে জেলাজুড়ে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন শুরু করা হয়েছে। তাই টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েও ওষুধ খেয়েওই কর্মী সম্মেলনে যান দলের কো-অর্ডিনেটর তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন দলের আরেক কো–অর্ডিনেটর সুষেনচন্দ্র মাজি ও মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি।

[আরও পড়ুন: বিবেকানন্দের ছবি বাড়িতে ঝোলালে ৩০-৩৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি, দাবি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর]

কর্মীদের উদ্দেশ্যে সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘরে ঘরে আরএসএস বিষ ঢালছে। এর মোকাবিলা করতে হবে। মানুষকে সঠিকটা বোঝাতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের গালিগালাজ শুনতেই ছোট ছোট দল করে বাড়ি বাড়ি যান। যে ভুল করেছিলেন তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিন। মানুষজন তার ক্ষোভ উগরে দিলেই দেখবেন আবার আপনাকে কাছে টেনে নিয়েছে। তাই ক্ষোভ শুনতেই বাড়ি যান।”

গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে এই জেলায় তৃণমূলের আশানুরূপ ফল হয়নি। লোকসভা ভোটে বিপর্যয় নেমে আসে। যার আঁচ পড়ে পুরুলিয়া বিধানসভাতেও। তাই পুরনো জায়গাতে দলকে তুলে আনতে এদিন একাধিক দাওয়াই দেন সভাধিপতি। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি কীভাবে বিজেপির অপপ্রচারের জবাব দেবেন তা মানভুঁইয়া ভাষায় একাধিক উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরেন সুজয়বাবু। তাঁর কথায়, “এই বিধানসভা এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে ফল খারাপ করলেও কর্মীর অভাব নেই।’দিদিকে বলো’ থেকে শুরু করে একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে আগের অবস্থার বদল ঘটেছে।” তাই কর্মীদেরকে ফুলের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “ফুল গুলো সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমি সেই ছড়ানো ফুল এক জায়গায় করে মালা গেঁথে দেব। তারপর দিদি তথা নেত্রী যাঁকে বলবেন তাঁর গলায় সেই মালা পরিয়ে দেব।” এই টোটকায় চাঙ্গা হয়ে যান কর্মীরা।

[আরও পড়ুন: ভোটে শিথিল নিয়ম, নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক সভার অনুমতি কেন্দ্রের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement