শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করেও শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতালে মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব তৃণমূল।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। এদিন সন্ধেয় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ভুটকিহাট এলাকায় গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা (TMC leader) মহম্মদ সোলেমান। রাতে বাড়ি ফেরার সময় গণ্ডার মোড় এলাকায় তপন মাহাতোর লটারি দোকানে বসেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে সোলেমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। জখম হন লটারি বিক্রেতাও। স্থানীয়রা জড়ো হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন: নেশার ঘোরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য, বর্ধমানে গ্রেপ্তার যুবক]
বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় থানায়। তড়িঘড়ি আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সোলেমান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে জখম অপরজনের। ভরসন্ধেয় এই ঘটনায় এখনও তীব্র আতঙ্কে স্থানীয়রা। নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে খোঁজ চলছে অভিযু্ক্তদের। কিন্তু কী কারণে এই খুন তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। কারণ, রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করতেন মৃত তৃণমূল নেতা। সেই ব্যবসা সংক্রান্ত অশান্তির কারণেও খুনের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।