বিক্রম রায়, কোচবিহার: নবমীর রাতে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। কিন্তু কী কারণে এই হামলা? রাজনৈতিক হিংসা নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। যদিও তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্তরা বিজেপি আশ্রিত। রাজনৈতিক কারণেই এই আক্রমণ।
জানা গিয়েছে, দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের (বি) ভিলেজ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ওই ব্যক্তির নাম মিঠুন রাজভর। নবমীর রাতে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি। একটু বেশি রাতেই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেরার সময় সাতকুড়া এলাকায় বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় তাঁর উপর। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে মিঠুনবাবুকে। ঘাড়, গলা গুরুতর জখম হয় তাঁর। যন্ত্রণায় আর্তনাদ করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মিঠুনবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁকে শিলিগুড়ি (Siliguri) মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পুজো উপলক্ষে চটুল নাচের আসর, পুলিশের জালে ২ উদ্যোক্তা]
জানা গিয়েছে, এদিন ঘটনাস্থল থেকেই এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। গণপিটুনি দেওয়া হয় তাকে। মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেও। পরে তাকেও ভরতি করা হয় হাসপাতালে। উল্লেখ্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও তৃণমূল ঘটনার জন্য বিজেপিকে দুষলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্ম শিবির। উলটে গোটা ঘটনার জন্য শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। বিজেপি নেতাদের কথায়, পরিকল্পনামাফিক তাঁদের দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে।