সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ‘আত্মঘাতী’ তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বোলসিদ্ধি-কালীনগর গ্রামে। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইনাইড নোট। তাতে পঞ্চায়েত প্রধান মুন্নি বিবি ও শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম মোল্লাকে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন ওই উপপ্রধান। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের বোলসিদ্ধা-কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন দেবব্রত ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যক্তি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও আর ফেরেননি তিনি। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মারধর ভট্টাচার্যবাড়িতে খবর যায়, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন দেবব্রতবাবু। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে। সেখানকার চিকিৎসকরা উপপ্রধানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা মুক্তির পথে বাংলা? গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত একশোরও কম]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সুইসাইড নোটে পঞ্চায়েত প্রধান মুন্নি বিবি ও শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম মোল্লাকে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন ওই উপপ্রধান। ওই নোটের সূত্র ধরে জানা যাচ্ছে, দেবব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রধানকে খুনের হুমকি ও প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার অভিযোগ তুলেছিলেন মইদুল ইসলাম ও মুন্নি বিবি। সাংসদ অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে অভিযোগও করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সেই অশান্তির জেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে. দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যিই ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা দ্রুতই স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান ও শিক্ষক নেতা।