সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশে জুলাইয়ের রাতেই খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। এবার ঘটনাস্থল বিরাটির বণিক মোড়। শুভ্রজিৎ দত্ত নামে বছর উনচল্লিশের ওই তৃণমূল কর্মী খুনের নেপথ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলেই অভিযোগ শাসকদল তৃণমূলের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধী পদ্মশিবির।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধেয় বিরাটির (Birati) বণিক মোড়ে দলীয় কার্যালয়েই ছিলেন শুভ্রজিৎ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর পিছু নেয়। এরপর আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে এলাকায়। চারটি গুলি ওই তৃণমূল কর্মীর বুকে লাগে। একটি গুলি লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ। গুলির শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ইতিমধ্যেই এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত যুবকেরা।
[আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ডাকাতির ছক? উত্তর কলকাতায় বধূর কাণ্ডকারখানায় ধন্দে পুলিশ]
খবর দেওয়া হয় নিমতা থানায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুভ্রজিৎকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে বলেই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের দুপুরে বিরাটির ত্রাস বাবুলাল সিংয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতিও হয়। বাবুলালের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে বাবুলাল বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই বদলা নিতে শুভ্রজিতের মতো সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর থেকে এখনও থমথমে গোটা এলাকা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।