শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ৩ বছরের শিশু কন্যার গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে। মেয়েকে খুনের পর ছেলেকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় অভিযুক্ত। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সাহাবুল শেখ। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে রঘুনাথগঞ্জেই থাকতেন তিনি। পেশায় কৃষক। অন্যদিনের মতোই রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, এরপরই গভীররাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে বছর তিনেকের আসমা খাতুনের উপর চড়াও হয় বাবা সাহাবুল। গলার নলি কেটে দেয় তার। এরপরই ছেলের উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তার চিৎকারে পরিবারের সবাই ছুটে এসে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। তড়িঘড়ি দুই খুদেকে হাসপাতালে নিয়ে যান মা টিয়ারা বিবি।
[আরও পড়ুন: বিদ্যুতের তার চুরি করতে যাওয়াই কাল! গণপিটুনিতে মৃত্যু ফরাক্কার যুবকের]
জানা গিয়েছে, সেখানেই চিকিৎসকরা আসমা খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আহত শিশুপুত্রের অবস্থা সংকটজনক। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনার খবর পেয়েই রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। তবে ততক্ষণে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত। কেন এভাবে সন্তানদের হত্যার চেষ্টা করল সাহাবুল? পরিবারের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন অভিযুক্ত যুবক। সত্যিই কি তাই? নাকি এই নৃশংসতার নেপথ্যে অন্য রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, সাহাবুল ও টিয়ারার দাম্পত্যকলহ ছিল কি না, পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা জানতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।