সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন মুলুকে কিছুতেই থামছে না করোনার মৃত্যুমিছিল। মারণ জীবাণুর হামলায় আমেরিকায় এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ। অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাফিলতির জন্যই সে দেশে কোভিড-১৯-এর এত বাড়বাড়ন্ত। এবার নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে বসানো হয়েছে সুবিশাল একটা ‘ঘড়ি’। যেখানে প্রতি মুহূর্তে দেখানো হচ্ছে, আমেরিকায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কী ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ‘গাফিলতিতে’।
[আরও পড়ুন: ভারতে হামলা চালাবে পাকিস্তানি ফৌজ! যুদ্ধের জিগির তুললেন পাক মন্ত্রী]
সুবিশাল বিলবোর্ডে এই ঘড়িটি বানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ইউজেনি জারেকি। টাইমস স্কোয়ারের একটি বহুতলের মাথায় বসানো হয়েছে সেটি। ঘড়িটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’ বা ‘ট্রাম্পের মৃত্যুঘড়ি’। প্রেসিডেন্টকে তুলোধোনা করে সেই ‘ঘড়ি’র নীচে লেখা, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মার্কিন প্রশাসনের গাফিলতির জন্য সংখ্যাটা এমন হতে পারে। সোমবার পর্যন্ত ওই ‘ঘড়ি’ জানিয়েছে, আমেরিকায় করোনা সংক্রমণে যে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৪৮ হাজার মানুষই মারা গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের গাফিলতিতে। আর এক সপ্তাহ আগে আমেরিকায় বাধ্যতামূলক ভাবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং চালু করা হলে সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৪৮ হাজার মানুষকে করোনা সংক্রমণের শিকার হতে হত না। করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে আমেরিকাই আপাতত শীর্ষে।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিকে মরণ ভাইরাসটিকে সামান্য ফ্লু বা জ্বরের সঙ্গে তুলনা করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলেন ট্রাম্প। ফলে সময় থাকতে লকডাউনের পথে হাঁটেনি প্রশাসন। যার খেসারত প্রাণ দিয়ে দিতে হয়েছে ৮৪ হাজার মানুষকে। কার্যত মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে নিউ ইয়র্ক শহর। ইতিমধ্যে এই মর্মে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন তাঁর পূর্বসূরী বারাক ওবামা। সদ্য এক আলাপচারিতায় ওবামা বলেন, করোনা মহামারি ঠেকাতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে দোনামোনা করছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, বর্তমান প্রেসিডেন্টের নীতিকে স্বার্থপর, বিভাজনকামী বলেও তোপ দেগেছেন ওবামা।
[আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজন চূড়ান্ত নজরদারি’, লকডাউন তোলা নিয়ে ফের সতর্ক করল WHO]
The post মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘গাফিলতি’, করোনায় প্রাণহানির খতিয়ান দেবে ‘ট্রাম্পের মৃত্যুঘড়ি’ appeared first on Sangbad Pratidin.