সম্যক খান, মেদিনীপুর: বউদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল স্বামী। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় প্রাণ গেল স্ত্রীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) শালবনী থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট মেদিনীপুর সদর ব্লকের আমতলা শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ববিতা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় শালবনীর মেগাখাম গ্রামের প্রকাশ ঘোষের। প্রথমদিকে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সংসার। কয়েকদিন যেতে না যেতেই শুরু অশান্তি। সূত্রের খবর, বউদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল প্রকাশের। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই ববিতা বিষয়টি জানতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেন তিনি। শুরু হয় অশান্তি। এদিকে পণের দাবি স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে প্রকাশ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার? গাছ থেকে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে]
বুধবার রাতে আচমকাই ববিতার বাপের বাড়িতে ফোন করে প্রকাশের পরিবারের সদস্যরা। জানানো হয়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ববিতা। সঙ্গে সঙ্গে ববিতার পরিবারের সদস্যরা শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান। মৃত ববিতার কাকা লক্ষ্মণ রায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের টাকা নিয়ে ববিতার উপর অত্যাচার চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ইতিমধ্যেই তাঁরা পুলিশে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ববিতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বউদির সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই বধূকে খুন করেছে প্রকাশ ও তার পরিবারের লোকেরা।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রকাশকে।