শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: স্বামী অন্য নারীর প্রেমে পাগল। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। প্রতিশোধ নিতে চরম সিদ্ধান্ত স্ত্রীর। স্বামী এবং পুত্রসন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের রানিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালডোবার ঘটনা।
ওই এলাকার বাসিন্দা আশাদুল শেখের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় বুলি খাতুনের। তাদের ২ বছর ১০ মাস বয়সি একটি পুত্রসন্তানও ছিল। দিনকয়েক আগে নতুনগঞ্জের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় আশাদুলের। ফোনে কথাবার্তা হত প্রথমে। পরে যদিও ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্বামী ওই মহিলার প্রেমে বিভোর তা বুঝতে বুলিকে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। তার প্রতিবাদ করেন ওই মহিলা। তার ফলে দাম্পত্য অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ, প্রতিদিন ঝগড়াঝাটি হত আশাদুল ও বুলির। সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছিল হু হু করে।
[আরও পড়ুন: গণধর্ষণের পর মূক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ফেলে গেল দুষ্কৃতীরা! বাগনানে গ্রেপ্তার ২]
বেশ ভোরেই ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস বুলির। তবে সোমবার সে ওঠেনি দেখে সন্দেহ হয় শাশুড়ির। ঘুম থেকে ডাকতে যান তিনি। কারও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে দরজা ধাক্কা দেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান বুলির শাশুড়ি। তিনি দেখেন ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নাতিরও কোনও সাড়াশব্দ নেই। পুত্রবধূর সাড়া শরীরে ইলেকট্রিক তার পেঁচানো। তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্বামীকে বিষ খাইয়ে প্রথমে বেহুঁশ করা হয়। পরে ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে বুলি। খুদে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। নিজে ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তরুণী। প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় বুলিকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। গৃহবধূর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।