দেবব্রত দাস, খাতড়া: আদিবাসী যুবতীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরা এলাকায়। বর্তমানে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি যুবতী। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই যুবতীর মাথায়, হাতে ও পায়ে চোট রয়েছে।
নির্যাতিতা যুবতীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বছর কুড়ির ওই যুবতী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। রবিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে সাইকেলে স্থানীয় একটি কম্পিউটার সেন্টারে যাচ্ছিলেন। জঙ্গলের রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় চারজন যুবক তার পথ আটকায়। অভিযোগ, টানতে টানতে তাঁকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। এরপর হাত-পা বেঁধে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। যুবতী খেতে রাজি না হলে ওই যুবকরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সেইসময় দু’জন আচমকা সেখানে উপস্থিত হলে অভিযুক্তরা যুবতীকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ, শ্লীলতাহানি করা হয় যুবতীর।
[আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে আতঙ্কের মাঝে মাওবাদী সন্দেহে এবার গ্রেপ্তার বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র]
নির্যাতিতার বাবার কথায়, “এদিন সকালে সাইকেল চালিয়ে আমার মেয়ে কম্পিউটার সেন্টারে যাচ্ছিল। জঙ্গলের রাস্তায় তাঁকে আটকেছিল চারজন যুবক। এরপর ওরা মেয়েকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের চেষ্টা করেছে। মারধরও করেছে। কোনওরকমে রক্ষা পেয়ে প্রাণে বেঁচেছে আমার মেয়ে।” তিনি আরও বলেন, “পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”
তালডাংরা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে। খাতড়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি এদিন সন্ধেয় বলেন, “তালডাংরা থানার জঙ্গল পথে এক যুবতীকে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবতীর বাবা অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”