দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বছর দুয়েক আগে দেওর ও বউদির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছয়। পরে এই সম্পর্কের ইতি টানেন বউদি। মাসখানেক আগে দেওরের তরফ থেকে ফের প্রেমের প্রস্তাব পান। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বউদি। তার ফলে অভিমানে গত সপ্তাহে আত্মঘাতী হন দেওর। দেওরের শেষ যাত্রায় বউদিও সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনার পাঁচদিন পর এবার দেওরের পরিবার ও প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত হলেন নিহতের বউদি ও দাদা। মঙ্গলবার বিকেলে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
২০১৪ সালে চুঁচুড়া থানার ঘুটিয়াবাজার এলাকার শেফালী বাগান এলাকার এক তরুণের সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পরেই দাম্পত্যের উষ্ণতা হারায়। ওই গৃহবধূ তখন স্বামীর মাসতুতো ভাই চন্দন দাসের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। চন্দন পেশায় রাজমিস্ত্রি। চুঁচুড়ার বুনো কালিতলার বাসিন্দা। মাত্র কয়েকদিনে সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে যায়। পরিবারে চরম অশান্তি তৈরি হয়। অশান্তি এড়াতে ওই গৃহবধূ দেওরের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানে।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতে প্রলেপ! সরকারি কর্মচারীদের DA বাড়াল কেন্দ্র]
সম্প্রতি চন্দন ফের তার বউদির বাড়ি যাতায়াত শুরু করেন। অভিযোগ, ইদানীং চন্দন ওই তরুণীকে পুনরায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চাপ তৈরি করে। কিন্তু তরুণী নতুন করে কোনও সম্পর্কে জড়াতে অস্বীকার করে। এরপরই চন্দন চলতি মাসের ২৪ তারিখ নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্তের পর চন্দনের শেষকৃত্যেও গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ।
কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন পর মৃত চন্দনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধূর বাড়িতে চড়াও হয়। হামলাও চালায়। বাড়ি থেকে বের করে তরুণীর চুল কেটে নেওয়া হয়। এরপর তাঁর সারা গায়ে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধেয় ঘটনার বিচার চেয়ে চুঁচুড়া থানার দ্বারস্থ হন গৃহবধূর পরিজনেরা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।