সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মা-বাবার বিচ্ছেদের পর চাকরির জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তরুণী। পরিস্থিতি বুঝে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন এক সেনা অফিসার। পরবর্তীতে বিয়েও করে তাঁরা। কিন্তু মেলেনি চাকরি। বরং একে একে স্বামীর আসল রূপ জানতে পারেন তরুণী। এরপরই বাধ্য হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। গোটা ঘটনার পিছনে তাঁর মায়ের যোগ রয়েছেন বলেই দাবি অভিযোগকারীর। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman)।
জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে বাবা-মার ডিভোর্সের পরই চাকরির সন্ধান শুরু করেন বর্ধমানের বিধানপল্লির বাসিন্দা এই তরুণী। সেই সময় বর্ধমানের ইছলাবাদ ও খণ্ডঘোষের গোলাহাটের ২ ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে একজন জানান তিনি সেনা অফিসার। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণীকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে তরুণীর থেকে পরীক্ষার শংসাপত্র, ছবি ও টাকা নেয় সে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয় সে। রাজি হয়ে যান তিনি। অভিযোগ, বিয়ের কোনও ছবি তুলতে দেননি তরুণীর স্বামী। সন্দেহ মনে দানা বাঁধলেও নির্যাতিতা সেই সময় বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। পরবর্তীতে স্বামী অত্যাচার শুরু করে তাঁর উপর। বারবার গর্ভপাত করাতে বাধ্য করে। এমনকী বন্ধুদের সঙ্গে স্ত্রীকে সহবাস করার জন্যও চাপ দিত অভিযুক্ত। হুমকি দিত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর।
[আরও পড়ুন:জেলা সফরসূচিতে রাতারাতি বদল, ম্যারাথন কর্মসূচি নিয়ে একদিন আগেই বাঁকুড়ায় মমতা]
এই পরিস্থিতিতে তরুণী জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি আদৌ সেনা অফিসারও নন। গোটা ঘটনার নেপথ্যে মায়ের যোগ রয়েছে বলেও দাবি ওই বধূর। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে তাঁর মা তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতেন। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করতেই বধূকে ঘর ছাড়া করে অভিযুক্ত যুবক। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে তরুণী।