অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় থেকে প্রণয়ের সম্পর্ক। প্রেমের টানে সূদুর আমেরিকা থেকে মুর্শিদাবাদে তরুণী। রবিবার রাতেই এক হল চার হাত। বিদেশী বউমাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা।
বছর তিনেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বাসিন্দা মুসাবির হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় আমেরিকার বাসিন্দা ফারহানা আক্তারের। বছর চারেক আগে মা, বোন ও ভাইয়েদের সঙ্গে আমেরিকায় গিয়েছিলেন ওই তরুণী। পড়াশোনা করেছেন সেখানেই। পড়াশোনার মাঝেই মুসাবিরের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। ধীরে ধীরে কথা হতে হতে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এক সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বাংলায় আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ফারহান আক্তারা। এই নিয়ে চলছিল আলাপ-আলোচনা। শেষে বাংলায় আসবেন বলে মনস্থির করেই ফেলেন তরুণী। সেই মতো পাসপোর্ট-ভিসা করেন। তারপর আকাশ পথে এসে পৌঁছন দমদমে।
[আরও পড়ুন: অভিমানী সৌমিত্র খাঁ, বিজেপির নয়া কোর কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ছাড়লেন পর্যবেক্ষকের পদ]
খবর পাওয়ামাত্রই দমদম বিমানবন্দরে এসে হাজির হন মুসাবির। তরুণী প্রেমিকের কাছে চলে এলেও গোটা বিষয়টা সহজে মানতে পারেনি পরিবার। কিন্তু যুগলের ভালবাসা গলিয়েছে বরফ। সম্পর্ক মেনে নিয়েছে পরিবার। রবিবারই নিয়ম মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে যুগল। মুসাবির হোসেন বলেন, “আমার প্রতি বিশ্বাস রেখে ও সূদুর আমেরিকা থেকে এসেছে। ওর বিশ্বাসের মর্যাদা আমি রাখার চেষ্টা করবই।” ফারহানা আবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মুসাবিরকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার।”
তবে কী স্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকায় যাবেন মুসাবির নাকি বাংলা সংসার করবেন ফারহানা? জানা গিয়েছে, আপাতত ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আমেরিকায় ফিরে যাবেন তরুণী। মুসাবিরের আপাতত লক্ষ্য এমএ পড়ার। তারপর চাকরি চলবে। ভাগ্যে যা আছে তা হবে, কিন্তু ফারহানাকে ছাড়বেন না মুসাবির।