অংশুপ্রতিম পাল, ডেবরা: কেতুগ্রাম কাণ্ডের (Ketugram) পর এবার ডেবরায় মধ্যযুগীয় বর্বরতা! বাড়ির বাইরে কাজে যাওয়ায় গৃহবধূকে নেড়া করল গ্রামের মোড়লরা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা নির্যাতিতা গৃহবধূ।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার (Debra) মলিঘাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের চকঅনন্ত গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূ। ১২ বছর আগে দাসপুরের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দুই সন্তানকে নিয়ে দম্পতির অভাবের সংসার। সন্তানদের মুখ চেয়ে রোজগারের তাগিদে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। সেটাই কাল হল। কেন বাইরে গিয়েছিলেন তিনি? বাড়ি ফিরতেই সেই প্রশ্ন তুলে গৃহবধুর মাথা নেড়া করে দিল গ্রামের কয়েকজন মোড়ল। তাতে সায় দিল এলাকার মহিলারা। কয়েকজন আবার হাত লাগালেন মাথা কামানোর কাজে। তারপর থেকেই নিখোঁজ ওই মহিলা।
[আরও পড়ুন: মরণ হোক একসাথে! দাম্পত্য কলহে স্বামীর গায়ে আগুন লাগিয়ে তাঁকেই জড়িয়ে ধরলেন নদিয়ার বধূ]
মুহূর্তে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় আশপাশের এলাকায়। বিদ্যুতের গতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার ভিডিও। বৃহস্পতিবার ডেবরা থানায় মেয়ের নিঁখোজের অভিযোগ জানাতে গিয়ে গোটা ঘটনা জানালেন গৃহবধূর মা আভা সিং। অভিযোগ পাওয়ার পর গৃহবধূর খোঁজ শুরু করেছে ডেবরা থানার পুলিশ। এদিকে ডেবরার বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত বলেছেন, “নেড়া করার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজ নিচ্ছি।”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সরকারি চাকরি পাওয়ায় হাত খোয়াতে হয়েছে কেতুগ্রামের নার্স রেণু খাতুন। তাঁর ডান হাত কেটে নিয়েছে স্বামী। সেই ঘটনার ক্ষত এখনও টাটকা। তারই মাঝে ডেবরার এই ঘটনায় শিউরে উঠছেন সকলে।