শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে প্রাণহানি। মৃত্যু হল একজনের। জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) ঘুঘুডাঙ্গা ট্যাপরামারি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অসুস্থ তিনজন। তাঁদের মধ্যে এক দমকল কর্মীও রয়েছেন। অসুস্থরা ভর্তি হাসপাতালে। ভয়াবহতা তুলনায় সামান্য হলেও এই ঘটনাই যেন ফেরাল ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি।
জলপাইগুড়ির ঘুঘুডাঙ্গা ট্যাপরামারি এলাকায় রয়েছে একটি আলু রাখার হিমঘর। ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৬৮ কুইন্টাল আলু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ওই হিমঘরে। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকাই ঝাঁজাল গন্ধে ভরে যায়। কিছুক্ষণ পরে হিমঘরের কর্মীরা বুঝতে পারেন অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে।
[আরও পড়ুন: হর হর মহাদেব! ১২ হাজার কিমি হেঁটে ১২ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনের পথে ভোপালের দুই যুবক]
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। পৌঁছয় এনডিআরএফ। গ্যাস লিক হওয়া বন্ধ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হিমঘরের তিনজন কর্মী। অসুস্থ হন এক দমকলকর্মীও। তাঁদের মধ্যে কুতুবউদ্দিন শেখ নামে এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। দমকল কর্মী-সহ হিমঘরের ২ কর্মী আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
হিমঘরের গ্যাস লিক হচ্ছে বুঝতে পেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হিমঘরের ২০০ মিটারের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। হিমঘরের আশপাশের বাড়ির কেউ অসুস্থ হয়েছেন কিনা তা দেখতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।