সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'আমেরিকার ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হোক কানাডা', প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিবেশী দেশকে এমনই প্রস্তাব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বার্তা প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ব রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। কানাডা আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হলে কী কী সুবিধা তারা পাবে সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার ট্রুডো পদত্যাগ করার পর সোশাল মিডিয়ায় কানাডাকে বার্তা দেন ডোলান্ড ট্রাম্প। তিনি লেখেন, 'কানাডার জনগণ চান তাঁদের দেশ যেন আমেরিকার ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে ওঠে। কানাডাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি এবং ভর্তুকি দেওয়া দরকার তা আমেরিকা আর সহ্য করতে পারে না। জাস্টিন ট্রুডো এটি জানেন এবং সেই জন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'কানাডা যদি আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তাদের কোনও বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না। করের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। এছাড়া চিন ও রাশিয়ার জাহাজ কানাডাকে সর্বদা ঘিরে রাখে। আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হলে পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে কানাডা। একত্রে আমরা এক মহান দেশ হয়ে উঠব।'
উল্লেখ্য, এর আগে গত নভেম্বর মাসে কানাডাকে একই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রুডো সাক্ষাতের পর সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন, কানাডা চাইলে আমেরিকার অঙ্গরাজ্য হতে পারে। যদিও ট্রুডো সে প্রস্তাব খারিজ করেছিলেন। এমনকি ২০১৭-২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ট্রুডোর সঙ্গে তাঁর খুব একটা সুসম্পর্ক ছিল না। ট্রাম্পের তরফে কানাডাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল কানাডা সীমান্ত থেকে অবৈধ মাদক ও অবৈধ অভিবাসীদের পাঠানো বন্ধ না করলে কানাডার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
তবে প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই ট্রাম্পের এহেন বার্তা এই প্রথমবার নয়। চিনা অধিপত্য বাড়ার অভিযোগ তুলে কিছুদিন আগেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ডও নিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। এবার ট্রুডো বিদায়ের পর ট্রাম্পের তরফে কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিল।