অর্ক দে, বর্ধমান: চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর। উদ্ধারের বদলে কার্যত লকডাউন অগ্রাহ্য করে গুরুতর জখম ওই যুবকের ছবি তুলতে ব্যস্ত এলাকাবাসী। অমানবিক এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানের (Burdwan) ঘোড়দৌড়চটি এলাকায়।
শনিবার সকালে ঘোড়দৌড়চটি এলাকায় একটি মূক ও বধির স্কুলের সামনে টোটো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কেন টোটো দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। স্কুলপ্রাঙ্গণে ঢুকে স্থানীয়রা দেখেন এক যুবক ডাব পারছে। তাকে পাকড়াও করে স্থানীয়রা। কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পর ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রেখে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর (Lynching) করতে শুরু করে তারা। তাতেই গুরুতর জখম হয় ওই যুবক। যদিও যুবকের দাবি, চুরি করতে আসেনি সে। প্রচণ্ড গরমে মাত্র দু’টি ডাব পেরেছিল বলেই দাবি তার।
[আরও পড়ুন: ‘ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম’, মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ সোনালি গুহর]
দিনকয়েক আগে ওই স্কুলেরই রান্নাঘর থেকে চাল-সহ বেশ কিছু সামগ্রী চুরি যায়। সেই ঘটনার সঙ্গে ওই যুবকের যোগ রয়েছে বলেই দাবি স্থানীয়দের। তাঁরা জানান, যেদিন স্কুল থেকে চাল-সহ অন্যান্য সামগ্রী চুরি গিয়েছিল সেদিনও দরজার বাইরে একটি টোটো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া মারধরের সময় ওই যুবক দু’জনের নাম উল্লেখ করে। তারা চুরির সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি। তাতেই আরও সন্দেহ দানা বাঁধে স্থানীয়দের। নিজে চুরির ঘটনার বিন্দুবিসর্গ না জানা সত্ত্বেও কীভাবে দু’জনের নাম বলল সে, সেই প্রশ্নই ওঠে। সেই সন্দেহের বশে যুবককে মারধর করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ মারধর চলার পর খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। গণপিটুনি প্রতিরোধে আইন তৈরির পরেও এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।