নিরুফা খাতুন: ফেসবুক লাইভে এসে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন অবসাদগ্রস্থ এক যুবক। সেই ভিডিও নজরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার মাঝরাতে বেহালার একের পর এক বাড়িতে খোঁজ চালিয়ে, যুবকের ঠিকানা খুঁজে বের করে তাঁর প্রাণ বাঁচাল পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত তখন প্রায় এগারোটা। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি ভিডিও পাঠান পেজেরই এক ফলোয়ার। ভিডিওটি একটি ফেসবুক লাইভের স্ক্রিন রেকর্ডিং, লাইভে দেখা যায় অচিরেই নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন ২০-২১ বছরের এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে যুবকের ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে বের করে পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া টিম। কিন্তু তাঁর প্রোফাইল লক করা ছিল। তবে হাল ছাড়েননি পুলিশ আধিকারিকরা। যিনি ওই ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন তাঁর ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক তাঁর স্কুলের সহপাঠী ছিলেন এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পড়ুয়া, সহপাঠীর পুরনো ফোন নম্বর জানা আছে। কিন্তু বর্তমান ঠিকানা জানা নেই। ওই ফোন নম্বরে সূত্র ধরে রাতভর বেহালার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান চালানোর পর পর্ণশ্রীতে ওই যুবকের ঠিকানায় পৌঁছায় কলকাতা পুলিশের টিম। অক্ষত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই যুবক।
[আরও পড়ুন: বনগাঁ লোকালে সিটের নিচ থেকে একটানা ‘হিস হিস’ শব্দ! ব্যাগ খুলতেই চক্ষু ছানাবড়া]
যার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছিলেন তিনি। তবে পুলিশকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন ভবিষ্যতে এমন কোনও পদক্ষেপ করবেন না তিনি। মধ্যরাতে বাড়িতে এভাবে পুলিশ আসায় হকচকিয়ে যান ওই যুবকের মাও। এর পর গোটা ঘটনা জেনে পুলিশের তৎপরতায় এভাবে ছেলের প্রাণরক্ষা হওয়ায় কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই যুবকের মা।