জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: চোর সন্দেহে দোকানের কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর। চিকিৎসা না করিয়ে প্রহৃত যুবককে দু’ঘণ্টা বসিয়ে রেখে পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নেতৃত্বে চলল সালিশি সভা। অমানবিক ঘটনার সাক্ষী উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরাতন বাজার এলাকায়।
বনগাঁর পুরাতন বাজারের গণেশ হালদারের রাইস মিলে কাজ করতেন ওই যুবক। তাঁর বাড়ি গাইঘাটার খেদাপাড়া এলাকায়। অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে গণেশের রাইস মিল থেকে ৮০ হাজার টাকা খোওয়া যায়। তখন গোলক ও আর এক কর্মচারী রাইস মিলে কাজ করছিলেন। মিল মালিক ও ছেলে টাকা চুরির ব্যাপারে গোলককেই সন্দেহ করেন। অভিযোগ, তাঁরা মিলের মধ্যে ফেলে গোলককে বেধড়ক মারধর করে। এমনকী তাঁকে ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। রাইস মিলের মালিক গণেশ হালদারের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নেহাত সন্দেহের বশে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার পরে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। উলটে প্রহৃত যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকেদের দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। চলে সালিশি সভাও। আর সেই সালিশি সভায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় কালুপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হিমাংশু মণ্ডল। যদিও তাঁর দাবি, “সালিশি সভা করতে যাইনি। এলাকার ঘটনা তাই মিটমাট করতে গিয়েছিলাম।”
[আরও পড়ুন: মুগ ডালের উপর ভারতের মানচিত্র এঁকে রেকর্ড বুকে নাম তুললেন উত্তরপাড়ার তরুণী]
প্রহৃত যুবকের দাদা অলোক শিকদার বলেন, ” আমার ভাইকে বিনা অপরাধে মারধর করাা হয়েছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।” ওই যুবককে মারধরের পর থেকেই মিলের মালিক গণেশ হালদারকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা হালদার বলেন, “গোলক টাকা চুরির কথা কবুল করেছে। তাঁকে মোটেও বাঁশ-হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়নি। ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়নি। তবে সামান্য মারধর করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: করোনাবিধি উড়িয়ে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দিতে ৩০০ জন কর্মী নিয়ে জমায়েত বিশ্বভারতীর উপাচার্যর]
The post অমানবিক! চোর সন্দেহে ইলেকট্রিক শক, যুবককে বেধড়ক মারের পর বসল সালিশি সভা appeared first on Sangbad Pratidin.