শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি। ফলে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখাশোনা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে সামশেরগঞ্জের শাম মহম্মদের পক্ষে। তাই বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন ওই যুবক।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের রতনপুরের বাসিন্দা শাম মহম্মদ। এমএ, বিএড পাশ। গত দশ বছরে বহু সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসেছেন তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও স্বচ্ছল নয়। ফলে বাবা-মায়ের দায়িত্ব এসে পড়েছিল শামের উপর। কিন্তু উপার্জন না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও তাঁদের জন্য কিছুই করতে পারছিলেন না ওই যুবক। বুঝে উঠতে পারছিলেন না কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। কতদিনে ফিরবে ভাগ্য। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শাম।
[আরও পড়ুন: ‘বাপের বেটা হলে শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াক’, সরাসরি চ্যালেঞ্জ সৌগতর]
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন শাম। সেখানে তিনি লেখেন, “পিছিয়ে পড়া এলাকা সামশেরগঞ্জ ব্লক। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্যবসার সেরকম কোনও সুযোগ নেই। ফলে শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও বাড়িতে বসে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করা খুব কঠিন। বাধ্য হয়ে আপনার কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালাম।” প্রসঙ্গত, কার্যত একই পরিস্থিতির শিকার উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের এক যুবক। কয়েকদিন আগে বাধ্য হয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন রফিকুল। লেখেন, “সম্মানীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বেকারত্বের জ্বালা আর নিতে পারছি না। আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করতে চাই। আমার কিডনিটি ন্যায্য মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করলে কৃতজ্ঞ থাকব।” পরবর্তীতে প্রশাসনের তরফে তাঁকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।