অর্ণব আইচ: তুকতাক করে মেয়েকে মেরেছে বউদি। এই বিশ্বাস থেকেই মেয়ের মৃত্যুর শোধ তুলতে তিন যুবককে ‘সুপারি’ দিয়ে ভাইপোকে খুন করাল কাকা। কয়েকদিন আগে বাঁশদ্রোণী থেকে উদ্ধার করা হয় রবিউল ইসলাম নামে এক যুবকের দেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, খুন করা হয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবককে। এই খুনের তদন্ত নেমে বৃহস্পতিবার রাতে মৃতের কাকা মতিউর ইসলাম, তার দুই সঙ্গী শাহিন কাদের ও ফরমান শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একজন এখনও পলাতক। ধৃতেরা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।
[ আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার তরুণী, ধৃত ২ অভিযুক্ত]
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় ধৃত মতিউর স্বীকার করেছে যে, সে ভাইপোকে খুন করার জন্য ২৫ হাজার টাকা সুপারি দিয়েছিল। মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরেই বেশ কয়েকজনের নামও পাওয়া গিয়েছে। মতিউরকে জেরা করে জানা যায়, রোগে ভুগে তার ১৩ বছরের মেয়ের মারা যায়। এক ওঝা বলে, যেহেতু পাঁচিল তোলা নিয়ে দাদার পরিবারের সঙ্গে তাদের গোলমাল, তাই বউদি তুকতাক করে তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। তার পরই ভাইপো রবিউলকে খুনের প্রস্তুতি নেয় মতিউর। পরিচিত তিন রাজমিস্ত্রিকে ডেকে ২৫ হাজার টাকা সুপারি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আগাম তিন হাজার টাকাও দেয়। খোঁজ নিয়ে মতিউর জানতে পারে, ভাইপো রবিউল ওড়িশায় গিয়েছেন কাজ করতে। সম্প্রতি রবিউল কলকাতায় আসেন। তিন সুপারি কিলারকে মতিউর কলকাতায় পাঠায়। শাহিন, ফরমান-সহ তিনজন শহরে এসে নতুন কাজ দেওয়ার নাম করে বাঁশদ্রোণীর একটি কারখানা চত্বরের পুরনো বাড়িতে রবিউলকে ডেকে পাঠায়। মদ্যপান করানোর পর তার মাথার পিছনে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। দেহটি পুকুরের জলে ফেলে দিয়ে তারা পালায়। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ মতিউরকে গ্রেফতার করে বাকিদের সন্ধান পায়। পলাতক যুবকের সন্ধান চলছে বলে।