সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা বৃষ্টির মাঝেই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু যুবকের। ঘটনাস্থল বাগুইআটি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে। অভিযোগ, নির্মাণে ভুলের কারণেই এই পরিণতি। প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ধ্রুবজ্যোতি মণ্ডল। বাগুইআটি থানা এলাকার অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা ওই যুবক। বৃহস্পতিবার ঝড়-বৃষ্টির রাতে বাড়িতেই ছিলেন ওই যুবক। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তিনতলার ছাদের একটা অংশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান তিনি। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কোনওরকমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভেঙে পড়া অংশ সরাতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর।
[আরও পড়ুন: দুদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের জলাশয়ে উদ্ধার ব্যবসায়ীর দেহ, চাঞ্চল্য ক্যানিংয়ে]
কিন্তু কেন এই ঘটনা? অভিযোগ, ১৫ বছর আগে বাড়িটি তৈরির সময় বেনিয়ম করা হয়েছিল। তিনতলার ছাদে লোহার বদলে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। বেশ কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। তার পর এই টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে তিনতলার ছাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয় যুবকের। কেন লোহার পরিবর্তে বাঁশ-কাঠ দিয়ে ছাদ ঢালাই? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।