দেবব্রত মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: এ গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায়! ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার নাম করে প্রেমিকাকে নিয়ে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে শুরু করেছিলেন যুবক। পরিণতি হল মর্মান্তিক। ২ মাসের মাথায় উদ্ধার যুবকের দেহ। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণগড়ে।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম নজরুল মণ্ডল। ক্যানিং থানার অর্ন্তগত দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তিনি। প্রায় ২ মাস আগে নজরুল বাড়িতে জানান যে তিনি কেরলে কাজ পেয়েছেন। সেখানে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু কেরলে যাননি তিনি। সূত্রের খবর, প্রতিবেশী তথা প্রেমিকা রেজিনা সর্দারকে নিয়ে বারুইপুরের সুভাষগ্রামে থাকতে শুরু করেন তিনি। তাঁদের সঙ্গেই থাকত রেজিনার বোনের মেয়ে সায়দা সর্দার ও বাপন নামে এক যুবক। একই বাড়িতে থাকতেন ওই চারজন।
[আরও পড়ুন: সোদপুরে ‘শ্লীলতাহানি’র শিকার ইউটিউবার মন্টি রায়, প্রতিবাদ করায় খুনের হুমকি! ভাইরাল ভিডিও]
এরপর বারুইপুর হাসপাতালে মেলে নজরুলের দেহ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে তাঁর নাম ও পরিচয়। এরপরই খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। ইতিমধ্যেই দেহটি পরিবার শনাক্ত করেছে ও কবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কীভাবে হাসপাতালে গেলেন ওই যুবক? মৃত্যুর কারণ কী? জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন ওই যুবক। সেই টাকাতেই চারজনের খাওয়া-থাকা হচ্ছিল। একমাস পেরোতেই সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নজরুল। তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। অভিযোগ, খরচ বহন করতে রাজি না হওয়ায় রেজিনা, সায়দা ও বাপন নজরুলকে খুনের ছক কষে। তাঁকে মারধরের পাশাপাশি বিষ খাওয়ানো হয়।
এরপর নজরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। পথেই মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই নজরুলকে হাসপাতালে ফেলে চম্পট দেয় রেজিনারা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতির জন্য গোটা বিষয়টি অনেক দেরিতে জানতে পেরেছেন তাঁরা।