শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: এসএসসি দিয়েছিলেন। নাম উঠেছিল ওয়েটিং লিস্টে। চাকরি নিশ্চিত করতে দালালকে ৫ লক্ষ টাকা দিলেনও লাভ হয়নি। না মিলেছে চাকরি, না ফেরত পেয়েছেন টাকা। অবশেষে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী চাকরি প্রার্থী। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যুবকের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম তপন দলুই। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের (Daspur) বলুরি এলাকার বাসিন্দা তিনি। ইংরাজিতে স্নাতকোত্তর। বিএড-ও করেছিলেন। এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টে। মৃতের দাদা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষবাসই করতেন তাঁর ভাই। তবে বরাবরই লক্ষ্য ছিল শিক্ষকতা। টিউশনও পড়াতেন। পরিবার সূত্রে খবর, চাকরি পাওয়ার জন্য এক দালালকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তপন। তার জন্য বিভিন্ন স্মল ফিনান্স কোম্পানি থেকে টাকা তুলেছিলেন । কিন্তু টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘১২ বছর পর মনে হল মানুষগুলো কিছুই পাননি’, অভিষেকের জনসংযোগ নিয়ে তোপ দিলীপের]
সূত্রের খবর, যাকে টাকা দিয়েছিলেন তার থেকে বারবার টাকা ফেরত চেয়েছিলেন তপন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবারের অভিযোগ, সেই অবসাদেই গত বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তপন। রাতেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শনিবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তপন। একদিনে মাথায় দেনার দায়, অন্য দিকে হারিয়েছে পরিবারের সন্তান। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে দলুই পরিবারের।
ভাইয়ের মৃত্যু, কলকাতায় টানা চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মৃতের দাদা। তিনি বলেন, “রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে।” প্রসঙ্গত, টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেই প্রকাশ্যে এসেছে এমনটা। এদিকে বেআইনি নিয়োগের প্রতিবাদে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন চলছেই। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে।