নব্যেন্দু হাজরা: একমাত্র মেয়ের জন্মদিন ছিল সোমবার। তাই মেয়েকে তিনি বলেছিলেন, যত কাজই থাকুক তিনি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হল না। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়(Kanchanjunga Express Accident) মৃত্যু হল শুভজিৎ মালির (৩৩)।
কলকাতার বালিগঞ্জের জামির লাইনের এই বাসিন্দা শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন গাড়ি ডেলিভারি দিতে। দিন কয়েক পর তাঁর ফেরার কথা থাকলেও মেয়ের জন্মদিনের কথা মাথায় রেখে সোমবার ফিরছিলেন। বিধি বাম। জন্মদিনেই মেয়ের কানে এল সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ। মুহূর্তে বদলে গেল বাড়ির চেহারাটা। খবর আসার পর থেকেই বাড়িতে শুধু বুকফাটা কান্নার আওয়াজ।
[আরও পড়ুন: ডিউটি বদলই কাল! রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড]
শুভজিৎবাবুর পরিবারে রয়েছেন বাবা, মা, স্ত্রী এবং মেয়ে সৃষ্টি ও দেড় বছরের ছেলে শিবম। মুরলীধর গার্লস স্কুলের ক্লাস ফাইভ-এর ছাত্রী সৃষ্টির এদিন ছিল ১১ তম জন্মদিন তাই বাবাকে বলেছিল 'তোমাকে কিন্তু আসতেই হবে।' জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি ও শুরু হয়ে গিয়েছিল এই বাড়িতে। কিন্তু কোথায় কী! এখন মালি পরিবারে শুধুই বুকফাটা আর্তনাদ। গাড়ির ডেলিভারির কাজ করা শুভজিৎবাবু শুক্রবার গিয়েছিলেন শিলিগুড়িতে। কয়েকদিন পরে ফেরার কথা থাকলেও সোমবারই রওনা দেন।
শুভজিৎবাবুর পিসতুতো বোন রিয়া প্রধান বলেন, "দাদার সঙ্গে একই সংস্থাতে কাজ করা স্থানীয় সূর্যশেখর পান্ডাও শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। এদিন সকালে তিনিই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে অন্য কারও থেকে ফোন করে বাড়িতে সবটা জানান। তিনিও গুরুতর জখম। তার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের আর কাউকে সামলানো যাচ্ছে না।পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশের তরফে তাদের বাড়ি গিয়ে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের যাবতীয় ডিটেইলস নিয়ে গিয়েছেন তারা।