শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: প্রেমিকের টানে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই সংসার পেতেছিল বধূ। বিষয়টি জানার পর স্বামী পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়াতেই ঘটল বিপত্তি। মেয়ের আচরণের প্রতিবাদ তো দূর-অস্ত উলটে জামাইকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাল শ্বশুর ও শ্যালক। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতিতে। আহত যুবক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২ অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দেবাশিস মণ্ডল আদতে দমদমের (DumDum) বাসিন্দা। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির মহেশাইলের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকার আবদার করতে থাকে দেবাশিসের স্ত্রী। চাপে পড়ে ঘরজামাই থাকতে রাজিও হয়ে যান ওই যুবক। সেখানে টিউশনের পাশাপাশি শ্বশুরের জমি জায়গা দেখাশোনা করতেন তিনি। প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক ছন্দে চললেও কিছুদিন পেরতেই দেবাশিস বুঝতে পারেন যে, স্ত্রীর বাপের বাড়িতে সংসার পাতার পিছনে কারণ তাঁর প্রেমিক। এরপরই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। অভিযোগ, মেয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানা সত্ত্বেও কখনই বিষয়টির প্রতিবাদ করেনি পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে অশান্তি চরমে উঠলে সালিশি সভার আয়োজন হয়। সাময়িকভাবে অশান্তি মিটেও যায়। কিন্তু তাতেও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেনি ওই বধূ। যার ফলে অতিষ্ট ওঠেন দেবাশিস।
[আরও পড়ুন: এখনও রাস্তায় রক্তের দাগ, ছড়িয়ে মাংসপিণ্ড, মালদহে টোটো বিস্ফোরণস্থলে ফরেনসিক টিম]
রবিবার সকালে ফের দাম্পত্য কলহ চরম আকার ধারণ করে। স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার হুমকি দেয় দেবাশিস। এতেই ক্ষেপে যায় ওই বধূর বাবা লক্ষ্মণ ও ভাই গোবিন্দ মণ্ডল। তখন মেয়েকে শাস্তি দেওয়ার বদলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা চড়াও হয় জামাইয়ের উপর। হাঁসুয়ার কোপে দেবাশিষের তিনটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় পেট ও পা। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরাই ছুটে গিয়ে আহত যুবককে প্রথমে মহেশাইল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভরতি করে। তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষের লাল চোখ হলুদ করতে পারলে তবেই তৃণমূল করুন’, বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়]
The post স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার ‘শাস্তি’! যুবককে হাঁসুয়ার কোপ শ্বশুর ও শ্যালকের appeared first on Sangbad Pratidin.