বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: প্রেমিক বা প্রেমিকা মুখ ফেরালেই তাঁর বাড়ির সামনে ধরনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা আজকাল প্রায়ই ঘটছে। এবার স্ত্রীকে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক যুবক। ঘটনাস্থল নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা। যদিও যুবকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তরুণীর পরিবার।
নদিয়ার বিরোহীপাড়ার বাসিন্দা বছর ২৮-এর বাবু মল্লিক। সোনাখালি গ্রামের বাসিন্দা সংগীতা ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তাঁর। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের মেলামেশা পছন্দ ছিল না সংগীতার পরিবারের। যুবকের কথায়, এরই মাঝে গত আগস্ট মাসে পরিবারকে না জানিয়েই রেজিস্ট্রি সেরে ফেলেন তাঁরা। মালাবদলও হয়। তবে সিঁদুরদান বাকি ছিল। ভেবেছিলেন, পরে সকলে সবটা মেনে নেবেন। তারপর সামাজিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তাঁরা। কিন্তু তেমনটা হয়নি।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের পর বীরভূমে জঙ্গি ডেরার হদিশ, অস্ত্র-সহ শান্তিনিকেতন এলাকায় ধৃত ৪ বাংলাদেশি]
এরপর কোনওভাবে সংগীতার পরিবারের সদস্যরা রেজিস্ট্রির বিষয়টা জেনে যান। এতেই বাঁধে গোল। অভিযোগ, সেই থেকেই তরুণীর উপর অত্যাচার শুরু করে পরিবার। গৃহবন্দি করে রাখা হয় সংগীতাকে। প্রথমদিকে লুকিয়ে বাবুকে ফোন করতেন ওই তরুণী। কিন্তু শেষ কিছুদিন ধরে তাও বন্ধ।
সেই কারণেই স্ত্রীকে ফিরে পেতে ধরনার পথ বেছে নেন বাবু। সোমবার ভোরের আলো ফুটতেই প্ল্যাকার্ড, বেশ কিছু ছবি ও রেজিস্ট্রির নথি নিয়ে সোনাখালি (Shonakhali) গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন তিনি। সেখানেই ধরনায় বসেন ওই যুবক। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “আমার বউকে ফিরিয়ে দাও।” তাঁর কথায়, “আমার বউকে আটকে রেখে অত্যাচার করা হচ্ছে। ওকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। “তাঁর সাফ কথা, স্ত্রীকে না নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না তিনি।
[আরও পড়ুন: এফআইআরের পালটা, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থার হুমকি অনুপমের]
যদিও জামাইয়ের অভিযোগ মানতে চাননি সংগীতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই কারণেই তাঁর মন ভাল করতে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। যদিও তাঁদের দাবি আদৌ কতটা সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাত্থে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, যুবকের কাছে বিয়ের আইনি কাগজ রয়েছে তা সত্ত্বেও আইন ভেঙে কেন মেয়েকে আটকে রাখছে ওই পরিবার?
The post ‘আমার বউকে ফিরিয়ে দাও’, প্ল্যাকার্ড ও রেজিস্ট্রির নথি হাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.