সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: INDIA জোটের দুই শরিক আপ এবং কংগ্রেসের মনোমালিন্য চলছিলই। এবার সেটা রীতিমতো ঝগড়ার রূপ নেওয়া শুরু করল। দুই শিবিরের বিবাদের সর্বশেষ কারণ, পাঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খইরার গ্রেপ্তারি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাফ বলে দিলেন, কোনওরকম অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।
বৃহস্পতিবার মাদক মামলায় কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খইরাকে গ্রেপ্তার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়ে সেক্টর-৫ এ তাঁর বাংলোয় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস (Congress) বিধায়কের বিরুদ্ধে আগেই নারকোটিক্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনে মামলা ছিল। ওই পুরনো মামলার সূত্র ধরেই জালালাবাদ পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল মারতে এলে পালটা মার দিন, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাব’, হুঙ্কার সুকান্তর]
এদিকে, তল্লাশি অভিযানের সময় সুখপাল সিং খইরা ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে তাঁকে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পুলিশের কাছে তিনি ওয়ারেন্ট দেখতে চান এবং গ্রেপ্তারির কারণ জিজ্ঞাসা করেন। ভিডিও-তে দেখা যায়, ডিএসপি কংগ্রেস নেতাকে বলছেন, পুরনো এনডিপিএস মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জবাবে খইরা জানান, ওই মামলা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তাহলে সেই মামলায় গ্রেপ্তারি কীভাবে সম্ভব? এই গ্রেপ্তারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি করেন কংগ্রেস নেতা। সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেপ্তার করে যখন বের হচ্ছিলেন, সেই সময় খইরাকে হাসিমুখে সকলের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায়। প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে তিনি দাবি করেন, গ্রেপ্তারির পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কানের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে শিশুমৃত্যু! বর্ধমান মেডিক্যালের ২ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় পরিবার]
এভাবে INDIA জোটের শরিকের দখলে থাকা রাজ্যে দলীয় নেতার এই গ্রেপ্তারি মানতে পারছে না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। খইরার গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাফ বলে দিলেন,”যদি আমাদের সঙ্গে কোনওরকম কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। কংগ্রেস অন্যায় বরদাস্ত করবে না।” পাঞ্জাবের আপ (AAP) সরকারের ভূমিকায় যে তিনি ক্ষুব্ধ সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন খাড়গে। এমনিতেই আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে আদৌ সমঝোতা হতে কিনা, সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। এই গ্রেপ্তারি সংশয় আরও বাড়াল।