বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: নির্বাচন নাকি নরকদর্শন। দিল্লি পুরনির্বাচনের আগে দেশের রাজধানীর হাল দেখে এমন প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। আজ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (MCD) ২৫০টি ওয়ার্ডে নির্বাচন। পুরনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি ও কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির তরজা তুঙ্গে। আর তার ঠেলায় নাজেহাল অবস্থা দিল্লিবাসীর।
এমনিতেই দিল্লিতে (Delhi) জঞ্জাল পরিষ্কার নিয়ে প্রায় সব সময়েই সমস্যা রয়েছে। ভোটের বাজারে সেই সমস্যা চরম আকার নিয়েছে। সচরাচর দেশের অন্যত্র পুরনির্বাচনের আগে রাস্তাঘাট সাফসুতরো রাখার মতো কাজ হয় ঝড়ের গতিতে। এখানে তার একেবারে উলটো চিত্র। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পশ্চিম থেকে পূর্ব সর্বত্র একই অবস্থা। ঝুপড়ি বা বসতি এলাকা থেকে বড় বড় আবাসনের সামনে এখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জঞ্জালের স্তূপ।মানুষের রাস্তা পার হওয়াই দায়।
[আরও পড়ুন: কাঁথির সভার আগে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামলেন অভিষেক, গ্রামে ঘুরে শুনলেন অভিযোগ]
অথচ এই পরিস্থিতির দায় নিতে রাজি নয় কেউই। বিজেপির অভিযোগ, দিল্লির শাসকদলের অসহযোগিতা, আবার আপের (AAP) অভিযোগ এমসিডি-র অকর্মণ্যতা। দুই পক্ষই ঝাঁপিয়ে পড়েছে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে। ভোটের ময়দানে কংগ্রেস থাকলেও লড়াই বিজেপি ও আপের মধ্যেই। নিজেদের হাতে থাকা এমসিডির ক্ষমতা ধরে রাখতে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে বিজেপি। বড় নেতারা গুজরাটে ব্যস্ত থাকলেও অনুরাগ ঠাকুর, পুস্কর সিং ধামিদের মতো দ্বিতীয় সারির নেতারা দিল্লি দখলের জন্য প্রাণপাত করেছেন। আপ শুরুর দিকে গুজরাট (Gujarat) নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও শেষদিকে সর্বশক্তি দিয়ে দিল্লি পুরনিগম দখলের চেষ্টা করছে। আসলে দিল্লিতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও দিল্লি পুরনিগম এখনও পর্যন্ত দখল করতে পারেনি আপ। এবার সেটাই যে কোনও মূল্যে করতে চাইছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কংগ্রেসকে (Congress) অবশ্য প্রচারে সেভাবে দেখা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘কাঁথিতেও সভা হচ্ছে, আমিও রাস্তা বন্ধ করতে পারি’, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাধা পেয়ে হুমকি শুভেন্দুর]
২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে সবকটি আসনেই লড়ছে বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস লড়ছে ২৪৭ আসনে। এর আগে এই দিল্লি পুরনিগম তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। এবার ৩টি ভাগকে একত্রিত করেছে কেন্দ্র। আগের নির্বাচনে ২৭২ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১৮১টি আসন। আম আদমি পার্টি পায় ৪৮ আসন। আর কংগ্রেস পায় ৩০টি আসন।