বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আনলকের (Unlock 5) পঞ্চম পর্বে দেশ। অথচ রাজ্যে গণপরিবহণের হাল তেমন ভাল নয় এখনও। তার মাশুল গুনতে হচ্ছে দিন আনা দিন খাওয়া দরিদ্র ও সাধারণ মধ্যবিত্তকে। কর্মস্থলে পৌঁছতে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে সুরাহা দিতে গণপরিবহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় দল।
চোখের সামনে দিয়ে ট্রেন চলে যাচ্ছে। অথচ জরুরি কাজেও তাতে চড়ার সুযোগ নেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। যাঁরা সেই ট্রেনে কোনওরকমে চড়ে বসছেন, তাঁদের কপালে জুটছে রেল পুলিশের লাঠি অথবা জেলের গরাদ। কারণ, ওই ট্রেনগুলো আমজনতার জন্য নয়, শুধুমাত্র রেলকর্মীদের জন্য। যেভাবে মেট্রোরেল চালু হয়েছে কলকাতায়, ঠিক সেভাবেই লোকাল ট্রেন চালু করা জরুরি বলে মনে করছেন অনেকে। এই বিষয়টি নিয়ে সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করুক। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে এমনই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (Abdul Mannan) ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakroborty)।
[আরও পড়ুন: মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কতদূর? CID’র কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট]
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তাঁদের দাবি, ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে শারদোৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা আবহেও সরকারি সাহায্যে তার বহর বাড়ছে। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা সাবধানবানী শুনিয়েছেন, যাতে আনন্দের উৎসবে অতিরিক্ত ভিড় শেষমেশ শোকের উৎসবে পরিণত না হয়। এরপরও দোকান, বাজার, অফিস কাছারি – সব জায়গাতেই ভিড় বাড়ছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সচ্ছলদের বিকল্প পরিবহণের ব্যবস্থা থাকলেও নিম্নবিত্ত মানুষজনের বিকল্প কিছু নেই। তাছাড়া এই পরিস্থিতিতে বাস, টোটো ও অটোর ভাড়া লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলে রাজ্য সরকারের কাছে গণপরিবহণের বিকল্প ব্যবস্থা করার আবেদন দাবি তুলেছেন দুই বিরোধী দলনেতা।