ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে জোট বেঁধে লড়ছে বাম-কংগ্রেস। সঙ্গী আবার ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টও। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরেই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। শোনা গিয়েছে, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিমের (AIMIM) সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়াই করবে বাম-কংগ্রেস জোট৷ তবে সেই জল্পনায় ইতি টেনেছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “একটি সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে লড়াই করতে আর এক সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই হাত মেলাব না। কোনও পরিস্থিতিতেই মিমের মতো সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে জোট বাঁধবে না বাম-কংগ্রেস৷”
এছাড়াও বাম-কংগ্রেস আসন বণ্টন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “একটা বৈঠকেই তো সবটা সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। আবারও বৈঠক হবে। সঠিক আসন বণ্টন না হলে যে কোনও একটা দলের ক্ষোভ থেকেই যাবে।” প্রসঙ্গত, শনিবার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আবদুল মানান এবং সিপিএম (CPIM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: ফের প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার মৃত্যুহার, মহানগরে করোনার বলি ২]
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ”গুরুদেব মুক্ত চিন্তা থেকে বিশ্বভারতী তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এখানে ভয়ের পরিবেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।” বৈঠক শেষে আবদুল মান্নান ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শিবপুরে জমিদাতা কৃষকদের একটি সভায় যোগ দেন। সেই সভায় আবদুল মান্নান বলেছেন, “শিবপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমরা জমি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। তখন উনি বলেছিলেন ক্ষমতায় আসলে এখানে শিল্প হবে। কিন্তু উনি প্রতারণা করেছেন। কয়েক জন প্রোমোটারের স্বার্থে এখন শিল্পের পরিবর্তে আবাসন, বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। চাষিরা টাকা পায়নি, চাকরি পায়নি। মানুষকে যেভাবে ঠকানো হয়েছে তার জন্য মানুষের মনে বিকল্প সরকারের ভাবনা এসে গিয়েছে। আর এই ক্ষমতা দখলের লড়াই এ নেমেছে তৃণমূল বিজেপি। রাজ্য এবং কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। লড়াই এ নেমে নিজেদের মধ্যে গালাগালি করছে। কেউ বলছে – তোর বাপকে বল। কেউ বলছে – চাড্ডা, ফাড্ডা, গাড্ডা। এই ধরনের ভাষা আমরা আগে শুনিনি। আতঙ্কে উলটোপালটা বকতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠন না হলে সমস্যার সমাধান হবে না। দেশে যে সব বিজেপি সরকার রয়েছে তাদের সব সমাধান হয়ে গিয়েছে?”
[আরও পড়ুন: আরও মসৃণ হচ্ছে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা, হাবড়া থেকে চালু ৪ দূরপাল্লার রুটের বাস]
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যকে নিয়ে নতুন স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ প্রসঙ্গে মান্নানের প্রতিক্রিয়া , “একের পর এক স্লোগান ফেল করে যাচ্ছে তাই নতুন স্লোগান তৈরি করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। একই মালকে হকার যেমন বিভিন্ন নাম দিয়ে বিক্রি করে সেই রকম অবস্থা হয়েছে।