সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই ভোটে একলা লড়ার কথা বলেছিলেন ফারুক আবদুল্লা। ইন্ডিয়া জোটকে ধাক্কা দিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান এও বলেছিলেন, ভবিষ্যতে তিনি নাকি এনডিএ শিবিরে যোগ দিতে পারেন। এই প্রেক্ষাপটে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের বিস্ফোরক দাবি, রাতের অন্ধকারে মোদি-শাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফারুক ও ওমর আবদুল্লা।
এক সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজাদ বলেন, সাধারণ মানুষের নজর এড়াতেই নাকি রাতে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। এমনই অভিযোগ আজাদের।
সোমবারের এই সাক্ষাৎকারে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টির প্রধান গোলাম নবি আজাদ বলেন, “আবদুল্লারা শ্রীনগরে একরকম কথা বলেন। জম্মুতে অন্য কিছু বলেন। আবার দিল্লিতে অন্য কথা বলেন। তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট নয়। নিজেদের অবস্থান নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন তাঁরা।” তিনি দাবি করেন, “২০১৪ সালে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লা বিজেপির সঙ্গে জোট বাধার জন্য ছক কষেছিলেন। বাবা-ছেলে দুজনেই দ্বিচারিতা করছেন।” আজাদ আরও বলেন, “ফারুক যেটা বলেছিলেন সেটা ভুলবশত নয়। ফারুক ও ওমর দুজনে সরকার ও বিরোধীদের খুশি করার চেষ্টা করছেন।” এদিকে, আজাদকে পালটা দিয়ে ফারুক আবদুল্লা সাফ বলেন. “প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার থাকলে দিনেই যাব। রাতে কেন যাব? অযথা কুৎসা করা হচ্ছে। তাঁকেই (আজাদ) জিজ্ঞেস করুন তাঁর কত এজেন্ট মোদি-শাহের অফিসে রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ছন্দা কোচরের গ্রেপ্তারি আদতে ক্ষমতার অপব্যবহার, সিবিআইকে ভর্ৎসনা বম্বে হাই কোর্টের]
বর্ষীয়ান নেতা আজাদের এই বক্তব্যের পরই আরও একবার জল্পনা শুরু হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে নিয়ে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সত্যিই তিনি যোগ দিতে চলেছেন এনডিএতে? দিন চারেক আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন আসন্ন লোকসভা ভোটে তাঁর দল একাই লড়বে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ফারুক জানিয়েছিলন, “আসন ভাগাভাগি নিয়ে বলতে চাই, ন্যাশনাল কনফারেন্স এককভাবেই নির্বাচনে লড়বে। এই বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই। নিজেদের শক্তিতেই লড়তে চাই আমরা। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জোট করতে চাই না। ভবিষ্যতে এনডিএতেও যোগ দিতে পারি, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। সেক্ষেত্রেও একাই লড়ার কথা জানিয়েছেন ফারুক। মেহবুবা মুফতির পিডিপি দলের সঙ্গেও জোট বাঁধার সম্ভাবনা নেই ন্যাশনাল কনফারেন্সের বলেই মত বিশ্লেষকদের। এদিকে গত মাসেই ন্যাশনাল কনফারেন্সর একাধিক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত আসন ভাগাভাগির কথা বলেছিলেন ফারুকও। নচেত অন্য পথ দেখার কথাও বলেন। যদিও ইন্ডিয়া জোটেই থাকবেন বলে পরে জানান ওমর আবদুল্লা। তবে দলের দুই শীর্ষ নেতার পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।