সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি পদে থাকাকালীনই অভিজিতের সঙ্গে বার বার ‘সংঘাতে’ জড়িয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরুণাভ ঘোষ। তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেছিলেন দুই আইনজীবী। এবার ‘সুদে আসলে’ সেই আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন অভিজিৎ। একদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুমন্তব্যে’র জন্যই খ্যাত বলে কটাক্ষ শানালেন। তো অন্যদিকে ‘তাচ্ছিল্যের সুরে’ বললেন অরুণাভ ঘোষের কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। সবমিলিয়ে এজলাসের বাইরে নতুন ইনিংসের প্রথম বল থেকে একেবারে ‘মারকাটারি’ খেলতে শুরু করলেন অভিজিৎ। অরুণাভ-কল্যাণের গুগলিকে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠালেন প্রাক্তন বিচারপতি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কাণ্ডে তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের(Abhijit Ganguly) একাধিক রায়ের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন এই দুই বিচারপতি। এমনকী, এজলাসেও তাঁদের সঙ্গে সরাসরি বচসায় জড়িয়েছেন। আবার পরে ‘ক্ষমা’ও চেয়েছেন অভিজিৎ। কিন্তু বিবাদের আগুন যে তাতে নেভেনি, সেটা এদিন স্পষ্ট হয়ে গেল। উল্লেখ্য, বিচারপতি পদ ছাড়ার কথা ঘোষণার পরই অভিজিৎকে জালি বলে কটাক্ষ করেছিলেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ। অভিজিতের সমস্ত নির্দেশ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও কটাক্ষ করেন কল্যাণ। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে দুই বর্ষীয়ান আইনজীবীকে একহাত নেন অভিজিৎ।
[আরও পড়ুন: ‘নাস্তিক’ সিপিএম নাপসন্দ, কংগ্রেসে ‘পরিবারতন্ত্র’, দুই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অভিজিতের]
তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে অভিজিৎ বলেন, “কল্যাণ তো কুমন্তব্যের জন্য়ই খ্যাত। ওর পারবারিক শিক্ষা ঠিক নয় হয়তো!” একইসঙ্গে তাঁর খোঁচা, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই টিকিট পান কিনা দেখুন।” এর পরই অরুণাভ ঘোষ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ওর কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।” তবে এদিনও অভিজিৎকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না অরুণাভ। বললেন, “আঁচ করতে পেরেছিলাম বিজেপিতে যোগ দেবে। ওঁ নিজেই প্রমাণ করলেন, কেমন লোক! পেনশন ছাড়তে পারবে?”