সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের ছয় ছয়টা বছর জেলে কাটিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। আদ্যোপান্ত বিত্তশালী ফিল্মি পরিবারের ‘বিগড়ে’ যাওয়া সন্তান হয়েও অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কত শত বিতর্ক। নারীঘটিত কেচ্ছা! আইনি পাঁক। নায়ক থেকে খলনায়ক। উত্থান-পতনের সাক্ষী বলিউডের সঞ্জুবাবা। তবে রিল থেকে রিয়েল লাইফে আবার ফিনিক্স পাখির মতো অভ্যুথান ঘটেছে তাঁর। তবে জেলে থাকার সেই ৬ বছরের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা আজ অবধি ভুলতে পারেননি সঞ্জয় দত্ত।
জেলের মেঝেতে ঘুমোতে হত। বৃষ্টির জল ঢুকে মেঝে থইথই করত। স্যাঁতস্যাঁতে কুঠুরি। সেখানেই খাওয়া-শোওয়া, শৌচকর্ম। ছয়টা বছর সেখানে যে কী যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হয়েছে সঞ্জুবাবাকে, সেই অভিজ্ঞতা শুনেই কেঁদে ফেললেন অভিষেক বচ্চন, অজয় দেবগনরা।
এক টক শোয়ে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত, অভিষেক-অজয়রা। সেখানেই অভিষেক বচ্চন রসিকতা করে সকলকে জানান, সঞ্জুবাবা কখনও শুয়ে ঘুমোন না। বসে ঘুমোন। তাও আবার দুই পা খানিকটা তুলে। তখনই নেপথ্যের কারণ ফাঁস করেন সঞ্জয় দত্ত। জানান, এটা আসলে জেলে থাকাকালীন অভ্যেসে পরিণত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৩৮ বছর পর পর্দায় অমিতাভ-কমল হাসান দ্বৈরথ, ‘Project K’ নিয়ে বড় আপডেট]
কীভাবে? বৃষ্টির জলে যখন থইথই করত জেলের মেঝে। কখনও বা আবার গোড়ালি জল জমে যেত। সেখানেই ঘুমোতে হত সঞ্জয় দত্তকে। তখন দু পা খানিকটা তুলে শোয়ার অভ্যেস হয় অভিনেতার। জেল থেকে ফিরে জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও সেই অভ্যেস এখনও যায়নি সঞ্জুবাবার। একথা শুনেই কেঁদে ফেললেন সেখানে উপস্থিত অজয় দেবগন, অভিষেক বচ্চনরা।