সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার স্পিকার পদে প্রার্থী দিয়েছে শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। তবে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস কোনও আলোচনা করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই লোকসভার ট্রেজারি বেঞ্চে পাশাপাশি বসে রাহুল গান্ধী এবং অভিষেককে কথা বলতে দেখা যায়। মনে করা হচ্ছে, স্পিকার পদে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়।
সাংসদ পদে শপথ নেওয়ার জন্য় মঙ্গলবার দিল্লি গিয়েছেন অভিষেক। সংসদে ঢোকার সময় তিনি বলেন, "কংগ্রেসের তরফে সাংসদ কে সুরেশকে স্পিকার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিরোধী জোটের সমস্ত শরিকদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই সিদ্ধান্ত একতরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।" একইসঙ্গে তিনি জানান, দলীয় নেতৃত্ব বৈঠক করে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ভালোবাসা দেখাচ্ছে!’ জরুরি অবস্থার ৪৯ বছরে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির]
তবে এর পরই দেখা যায়, লোকসভার অন্দরে ট্রেজারি বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছেন রাহুল গান্ধী ও অভিষেক। দুজনকে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। একটু দূরেই বসে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মনে করা হচ্ছে, কে সুরেশকে স্পিকার পদে প্রার্থী করা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়। ভোটাভুটি হলে কংগ্রেস প্রার্থীকে যাতে তৃণমূল সমর্থন করে, তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ওম বিড়লাকেই (Om Birla) স্পিকার পদে মনোনয়ন দিয়েছে এনডিএ (NDA)। অন্যদিকে ডেপুটি স্পিকার চেয়ে না পেয়ে পালটা কে সুরেশকে মনোনয়ন দিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট (INDIA Allience)। যদিও এ প্রসঙ্গে সংসদীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর দাবি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার নিয়ে দরাদরি করা উচিত নয়। স্পিকার পদের জন্য কখনওই ভোটাভুটি হয়নি। এই প্রথমবার। এটা কাম্য নয়। তবে দুপক্ষই ভোটে বাজিমাত করতে শরিকদের কাছে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ২৯ জন সাংসদ নিয়ে দিল্লিতে তৃণমূলের পাল্লা যে বেশ কিছুটা ভারি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।