নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। তার আগে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) জেলা সভাপতি রেখেই দুটি সাংগঠনিক জেলায় বীরভূমকে ভাগ করার পরিকল্পনা চলছে তৃণমূলে। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। একইসঙ্গে জেলার পাঁচটি ব্লক সভাপতির বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। অর্থাৎ জেলা সভাপতি থাকছেন অনুব্রতই।
বীরভূমের তৃণমূলরে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে জেলবন্দি। তার অবর্তমানে শুক্রবার ওই জেলার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের দিকে জেলা তৃণমূল নেতাদের নজর ছিল। কারণ, জেলা পরিচালনায় অনুব্রত মণ্ডলের অভাব সকলেই অনুভব করছে। কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠকেও বিধায়কদের অনুব্রত মণ্ডলের সাংগঠনিক দক্ষতার কথা মনে করিয়ে দেন অভিষেক। বিধায়করা জানিয়েছেন, “তৃণমুলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক এদিন বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল থাকলে এই বৈঠকের দরকার হত না। এতদিন তো তার দরকার পড়েনি।”
[আরও পড়ুন: প্রথমে CBI, পরে CID তদন্তের দাবি, কয়েক ঘণ্টায় বয়ান বদল নদিয়ার নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর]
বৈঠকে জেলার তরফে ব্লক সভাপতিদের দেওয়া রিপোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেওয়া হয়। এরপরই ব্লক ধরে ধরে বিস্তারিত জানতে চান তিনি। তারই ভিত্তিতে বেশ কিছু ব্লকের সভাপতিদের বিরুদ্ধে উপর কোপ পড়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বৈঠকে থাকা জেলা বিধায়করা জানিয়েছেন, দুবরাজপুর, ময়ূরেশ্বর ১, মুরারই ২, রামপুরহাট ১ ও নলহাটি ২ ব্লকের সভাপতিদের বদল করার আভাস তাঁরা পেয়েছেন। তবে সব চূড়ান্তভাবে দু’একদিনের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। বীরভূম ও বোলপুর দুটি লোকসভার ভিত্তিতে দলকে পরিচালনার জন্য দুটি মনিটারিং দল গঠন করা হবে বলে বৈঠকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধীদের এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়া চলবে না। মিছিল পালটা মিছিল হবে। সকলকে দলের নীতি মেনে চলতে হবে।