সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লাকাণ্ডে একাধিকবার সমন পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০ ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না। শুক্রবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের শেষে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের শেষে আরও তীক্ষ্ণ ভাষায়, আরও জোরালভাবে তিনি আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলে দিলেন, কয়লা কেলেঙ্কারি বা গরুপাচার কেলেঙ্কারি বলে কিছু নেই। এ সবটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কেলেঙ্কারি। রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের মোকাবিলা করতে না পেরে এজেন্সি দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, অমিত শাহ চান বিরোধীশূন্যভাবে সব দখল করতে। আর তাতে সবচেয়ে বড় বাধা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেকারণেই তাঁকে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, শুধু যেসব রাজ্যে বিরোধীদের সরকার আছে, সেই রাজ্যগুলিতে ইডি-সিবিআইয়ের হানা কেন? গুজরাটে কেন সিবিআই হানা হয় না। বিহারে এতদিন বিজেপির সরকার ছিল, সেখানে এতদিন সিবিআই হানা হত না, এখন কেন হচ্ছে?
[আরও পড়ুন: পুলিশ সেজে মাছ ব্যবসায়ীর ১০ লক্ষ টাকা লুট! অভিযোগের ভিত্তিতে মুচিপাড়ায় গ্রেপ্তার ৫]
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন, কোলিয়াড়ি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে, বিএসএফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। তাহলে এই সব জায়গায় যদি কেলেঙ্কারি হয়ে থাকে তাহলে তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কেন কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে না? গরু সীমান্ত দিয়ে কীভাবে পাচার হচ্ছে? কয়লা কীভাবে পাচার হচ্ছে? এর দায় কার? অভিষেক সাফ বলে দিয়েছেন, ইডির (ED) সঙ্গে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে তিনি রাজি। তিনবারের জায়গায় তিরিশবার সমন পাঠালেও তিনি যাবেন। কিন্তু এভাবে দিল্লির ‘জল্লাদ’রা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।
[আরও পড়ুন: ‘নজর রাখুন, আজ বড় কিছু হতে পারে’, সুকান্তর মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা, কী বলছে তৃণমূল?]
ইডির সমন পাওয়ার পরই অমিত শাহকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে টুইট করেছিলেন অভিষেক। তবে এদিন আক্রমণের সুর ছিল আরও চড়া। তিনি বলেন, “বিজেপি (BJP) অন্য দলের এক নেতাকে ‘পাপ্পু’ বলে দাবি করে। কিন্তু বাস্তব হল অমিত শাহ নিজে সবচেয়ে বড় পাপ্পু। এজেন্সি ব্যবহার না করে তিনি রাজনীতি করতে পারেন না।” সম্প্রতি এনসিআরবির (NCRB) এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দেশের মধ্যে কলকাতা যেখানে সবচেয়ে নিরাপদ শহর, সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায় থাকা রাজধানী দিল্লিতে অপরাধের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন অভিষেক বলেন,”অমিত শাহর লজ্জা হওয়া উচিত। দিল্লির প্রশাসনও সামলাতে পারেন না, আবার নিজের ছেলেকেও দেশপ্রেম শেখাতে পারেন না।”