ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দেশজুড়ে করোনার (Coronavirus) বাড়বাড়ন্তের মাঝেই ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবারই ঘোষিত হয়েছে ভোটের পূর্ণাঙ্গ সূচি। চলতি বছর উত্তরপ্রদেশ, গোয়া-সহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। কমিশনের এই ঘোষণার পর ওইদিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁর ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে এই অতিমারীর সময় ভোট-মেলা বন্ধ রাখার পক্ষে তিনি।নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে আগামী ২ মাস সমস্ত দলীয় কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা করেছেন।এবার গোয়ায় রাজনৈতিক সফর বাতিল হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।
নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৪ তারিখ গোয়ার (Goa) বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচারের জন্য এবার একাধিক নিয়মবিধি বেঁধে দিয়েছে কমিশন। করোনা পরিস্থিতিতে ভারচুয়াল প্রচারে বেশি জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এসব ঘোষণার আগেই নতুন বছরে গোয়ায় রাজনৈতিক সফরের পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তিনি মন দেবেন ভোটের প্রচারে। গত বছরই গোয়ায় সংগঠন খুলেছে বাংলার শাসকদল। আপাতত দলের দুই মহিলা সাংসদ – মহুয়া মৈত্র ও সুস্মিতা দেবের কাঁধে সংগঠন গোছানোর ভার দেওয়া হয়েছে। সংগঠন আরও মজবুত করতে দলীয় নেতারা ঘনঘন সেখানে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে একাধিকবার গোয়া সফর সেরে ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের ‘বিদ্রোহ’ অব্যাহত! এবার যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শঙ্কুদেব পাণ্ডা]
দলীয় সূত্রে খবর ছিল, ৯ জানুয়ারি গোয়া রওনা হচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। থাকবেন তিনদিন। ১২ তারিখ তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। গোয়া নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে সেখানে আসলে যে প্রচারেই যাচ্ছেন অভিষেক, এমনটাই মনে করছিল রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। অভিষেকের সফরে বেশ কিছু প্রকল্পের ঘোষণা হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় অটোচালকের মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধার, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আনন্দপুরে চাঞ্চল্য]
কিন্তু করোনার দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকায় সেই সফর বাতিল করলেন অভিষেক। দলীয় সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে তিনি বাইরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সেভাবে যোগ দেবেন না। পরে পরিস্থিতির উন্নতি হলে নতুন করে সমস্ত সফরের পরিকল্পনা করা হবে। শনিবার অভিষেক নিজেই কোভিড পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সমস্ত রাজনৈতিক সভা পিছিয়ে দিয়েছেন আগামী ২ মাসের জন্য। তাঁর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যের চিকিৎসকরা।