সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারের সুর চড়ছে। যে পুরুলিয়ার মাটিতে ঘণ্টাখানেক আগেই জনসভা করে গিয়েছেন হিন্দুত্বের ‘পোস্টারবয়’ যোগী আদিত্যনাথ, তা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই চৈত্র শুরুর রৌদ্রতপ্ত জায়গায় প্রচারের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে গেলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রঘুনাথপুরের জনসভা থেকে ‘উন্নয়ন’কে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ”উন্নয়নের হিসেব হোক, দশ গোলে হারাব।”
মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় (Purulia) একদিনে তিন-তিনটি জনসভা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম সভা রঘুনাথপুর থেকেই ঝাঁজ বাড়িয়ে তুললেন তিনি। উনিশের লোকসভায় জঙ্গলমহলে ঘাসফুল কার্যত সাফ করে দিয়ে চার জেলাতেই পদ্ম ফুটেছে। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও সাংসদ হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। সে কথা উল্লেখ করে অভিষেকের প্রশ্ন, ”জঙ্গলমহলে সব বিজেপির সাংসদ। কিন্তু বলুন তো ৪ জনের মধ্যে একজনকেও কি বিপদে পাশে পেয়েছেন? পাননি। পাশে দাঁড়িয়েছেন সেই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা। তাই শপথ নিন, বিজেপিকে এখান থেকে উৎখাত করতে হবে। আপনারা রঘুনাথপুরের তৃণমূল প্রার্থী হাজারি বাউড়িকে ভোট দিয়ে জেতান। অনেক সুবিধা পাবেন।” এরপরই তিনি উন্নয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতার কথা বলেন। তাঁর কথায়, ”গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের উন্নয়ন আর গত ৭ বছরে মোদির উন্নয়ন, এই তুলনা হোক। বিজেপিকে ১০ গোলে হারিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন: নদীর ধারে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ, ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত বীরভূম]
এরপরই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জখম হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ আরও জোরদার লড়াইয়ের ডাক দেন। তাঁর বক্তব্য, ”ভাঙা পায়ে যুদ্ধ করেই আগামী দিনে বাংলায় জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসব। ভোটের সময় দিল্লির নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছেন। কিন্তু করোনাকালে কাউকে তো অনুবীক্ষণ যন্ত্রেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনও বহিরাগত শক্তির কাছে নয়, বাংলার জনগণের কাছে মাথা নত করব। যদি হেরে যাই রাজনীতির ময়দানে পা রাখব না।” একুশে বঙ্গের নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট আগামী ২৭ মার্চ, জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে। তাই জঙ্গলমহলের জেলাগুলিই আপাতত ভোটের প্রচারে সরগরম।