নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: একুশে জুলাইয়ের পর্ব মিটিয়ে বুধবারই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দিল্লিতে সংসদের বাদল অধিবেশনে দলের সাংসদদের রণকৌশল নির্ধারণ করা থেকে শুরু করে, তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়া, সবটাই এবার নিজে করবেন অভিষেক। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে TMC যখন সর্বভারতীয় স্তরে আরও প্রবলভাবে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে, তখন দিল্লি সফরে অভিষেক কী ভূমিকা নেন, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
এদিন সকালে সংসদ অধিবেশনের (Parliament Session) শুরুতেই সরকারের একাধিক ‘জনবিরোধী’ নীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস, করোনা, কৃষি আইনের মতো ইস্যু তুলে কেন্দ্রের বিরোধিতার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। যার নেতৃত্বে থাকবেন অভিষেক। দুপুরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে দলীয় সাংসদদের মধ্যাহ্নভোজনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই মধ্যাহ্নভোজের আসরে মুখ্য অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সাংসদ না হওয়া সত্ত্বেও এদিন এই মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ পেয়েছেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha) এবং মুকুল রায় (Mukul Roy)। বাজপেয়ীর আমলের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সংসদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। একই কথা খাটে মুকুল রায়ের ক্ষেত্রেও। দুপুরে সুখেন্দুশেখরের বাড়িতে দুই অভিজ্ঞ নেতার সঙ্গে বাদল অধিবেশনে দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। কীভাবে কেন্দ্রের উপর চাপ আরও বাড়ানো যাবে, দলীয় সাংসদদের সেই মন্ত্রও দেবেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের রাজ্যসভার যে দুটি আসন ফাঁকা আছে, সেই দুই আসনে প্রার্থীপদ নিয়েও আলোচনা করতে পারেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: Pegasus কাণ্ডে উত্তাল দেশ, বৈঠকের আহ্বান শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটির]
প্রসঙ্গত, সদ্যই নিজের সাংসদ পদ ছেড়ে দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচন আগামী ৯ আগস্ট। যার মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই দীনেশের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন মমতা। সেক্ষেত্রে আজকের বৈঠকের দিকে নজর থাকবে। আজ দিল্লির বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়া যশবন্ত এবং মুকুলের রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।