সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে অভিষেকের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। প্রশ্ন তুললেন, শিক্ষা দুর্নীতিতে প্রায় ১৩ মাস আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়েছে কি? কোনও চাকরি প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছে কি? শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নন, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ৯ বছর আগের সারদা কাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। শিক্ষা দুর্নীতির বিচার হবে কবে?
বুধবার রাত ন’টা নাগাদ ইডি দপ্তর থেকে বের হন অভিষেক। ইডি দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তিনি। অভিষেক অভিযোগ, ইডি কোনও তদন্তের সুরাহা করতে পারে না। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে পারে না। তাই তাদের সাজা দেওয়ার হারও খুব কম। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্ত সেনের কথা উল্লেখ করেন। তাদের গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি, অভিযোগ অভিষেকের। এমনকী তদন্তে কেউ সুরাহা পায়নি বলেও দাবি তাঁর। অভিষেকের কথায়, “সারদাকাণ্ডে সুদীপ্ত সেন গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় ৯ বছর। এখনও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সুরাহা হবে কী করে?”
[আরও পড়ুন: কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলা: ম্যারাথন জেরা শেষ, ইডি দপ্তর ছাড়লেন অভিষেক]
এমনকী, ইডির অপরাধী ধরার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। সেকথা বলতে গিয়ে ফেলুদা-জটায়ুর কথাও টেনে আনেন তিনি। ফেলুদা আর জটায়ুর যেমন দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য ছিল, এক্ষেত্রেও তেমন। জটায়ু মনে মনে অপরাধী বলে কাউকে ধরে নিতেন, এখানও ইডি তেমন করে। অভিষেকের কথায়, “এরা আগে থেকে অপরাধী ঠিক করে নেয় মনে মনে। তারপর অপরাধ সাজানোর চেষ্টা করে। সেই জন্য কোনওদিন সুরাহা হয় না। তদন্ত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। আর সেই প্রভাব না কাটলে বঞ্চিতরা বিচার পাবে না।” অভিষেকের কথায়, “রাজ্য সরকারের হাত-পা বাঁধা। তদন্ত চলছে। আর সেই তদন্ত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত।”